বাবুল হক, মালদহ: বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে অস্ত্র কারখানার হদিশ। এসটিএফ (STF) ও রাজ্যে পুলিশের যৌথ অভিযানে মালদহের (Maldah) কালিয়াচক থেকে গ্রেপ্তার হল ২ যুবক। ভোটের আগে রাজ্যে হিংসা রুখতে এই অভিযানকে পুলিশের বড় সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র।
অস্ত্রবিরোধী অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল মালদহের কালিয়াচক থানার পুলিশ ও এসটিএফ। কালিয়াচকের এক বাড়ির ছাদে অস্ত্র কারখানার হদিশ পেলেন তাঁরা।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার গভীর রাতে কালিয়াচক থানার পুলিশ ও এসটিএফ যৌথ অভিযান চালায় আলিপুর ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের করারী চাঁদপুর গ্রামে। এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন শেখের বাড়ি তল্লাশির সময় অস্ত্র কারখানাটি নজরে পড়ে পুলিশ কর্তাদের। কারখানাটি থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামও উদ্ধার হয়। মূলতঃ নাইন এমএন পিস্তল-সহ রাইফেল তৈরি হত এই কারখানায়।উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম দেখে এমনই অনুমান করছেন পুলিশ কর্তারা।
[আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে কুয়াশার চাদরে মোড়া রাজ্য, ঝুঁকি এড়াতে আপাতত বন্ধ বিমান চলাচল]
অস্ত্রের পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফারুক আহমেদ ও মহম্মদ আজম নামে ওই দু’জন বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা। আর এখানেই উসকে উঠছে সন্দেহ। সাধারণত এ রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকা এমনকী কলকাতাতেও ‘মুঙ্গেরি’ অস্ত্রের চাহিদা প্রচুর। যে কোনও নাশকতামূলক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এমনকী মুঙ্গের থেকে অস্ত্র কারবারিদের এ রাজ্যে নিয়ে এসেও কাজে লাগানো হয়।
[আরও পড়ুন: বৃদ্ধের যৌন লালসার শিকার, একাধিকবার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা প্রতিবন্ধী যুবতী]
এবার নির্বাচনের আগে সেই একই উদ্দেশেই কি কালিয়াচকে এই অস্থায়ী কারখানা? জনতার কৌতূহল থেকে বাইরে রাখতে বাড়ির ছাদে তা তৈরি হচ্ছিল? ধৃতদের জেরা করে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। এই কারখানা এবং অস্ত্র কারবারের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তাদেরও সন্ধান চলছে। এই ঘটনায় কালিয়াচক এলাকা জুড়ে তীব্র আতঙ্কের পরিবেশ। এলাকাবাসীকে নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বস্ত করেছে পুলিশ।