সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০ বছর আগে শহিদ বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন কন্যা। প্রায় ২ দশক কঠিন পরিশ্রম, অধ্যাবসায়ের পর অবশেষে বাবার উর্দি গায়ে চাপানোর যোগ্যতা অর্জন করলেন বছর তেইশের ইনায়ত ভাৎস (Inayat Vats)। চেন্নাইয়ের সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগ্যতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স কর্পসে লেফটেন্যান্ট হিসেবে নিযুক্ত হলেন তিনি। পাশআউটের পর শহিদ বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে বাবার পোশাক পরেই প্যারেডে যোগ দিলেন ‘সেনা কন্যা’ লেফটেন্যান্ট ইনায়ত।
সালটা ২০০৩। জম্মু কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) শ্রীনগরে এক জঙ্গি হামলায় শহিদ হন চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা সেনা আধিকারিক মেজর নবনীত ভাৎস (Major Navneet Vats)। সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে তাঁর বীরত্বের জন্য শহিদ নবনীতকে মরনোত্তর সেনা পদক দেয় ভারত সরকার। কফিনে শায়িত বাবাকে প্যারেড করে সেনা জওয়ানরা যখন বাড়িতে নিয়ে আসেন, তখন ইনায়তের বয়স ছিল মাত্র ৩ বছর। ছোট্ট মেয়েটির বোঝার ক্ষমতাও ছিল না চিরতরে বাবাকে হারিয়েছে সে। বড় হয়ে যোগ্য কন্যা হিসেবে বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেন ইনায়ত। বাবার মতো নিজেকে নিয়োজিত করবেন বলে মনস্থির করেন। শুরু হয় তাঁর অধ্যাবসায়। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডি শ্রীরাম কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর, ২০২৩ সালের এপ্রিলে চেন্নাইয়ের অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে যোগদানের ইনায়ত। অবশেষে সব পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়ে লেফটেন্যান্ট ইনায়ত যোগ দিলেন ভারতীয় সেনায়। পাশাপাশি, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ৮ বছরের মেয়ের গলা কেটে আত্মহত্যা অধ্যাপকের! ভয়ংকর কাণ্ড হরিয়ানায়]
শনিবার ইনায়তের সেনায় যোগদানের ছবি সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরে ভারতীয় সেনার ট্রেনিং কমান্ড। ইনায়তকে ‘সেনা কন্যা’ বলে আখ্যা দিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, “সেনা কন্যা লেফটেন্যান্ট ইনায়ত ভাটস আপনাকে স্বাগত।” একইসঙ্গে ছবি শেয়ার করা হয় যেখানে দেখা যাচ্ছে বাবার মতোই জলপাই রঙের উর্দি পরিহিত ইনায়তকে ব্যাচ পরিয়ে দিচ্ছেন সেনা আধিকারিকরা। মেয়ের পাশে দাঁড়িয়ে গর্বিত মা শিবানী ভাটস। সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইনায়তের বাবা ছিলেন গোর্খা রাইফেলস রেজিমেন্টের চতুর্থ ব্যাটালিয়নের সদস্য।