সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দস্যু রত্নাকর থেকে বাল্মীকি হয়ে ওঠার গল্প যেমন আছে, তেমনই উল্টোটাও কি নেই? নেপথ্যে প্রেমের টান। কেউ কেউ হয়তো বলবেন ফাঁদ। অনেকেই মনে করেন, বিশ্বের বহু যুদ্ধের তথা চরম অশান্তির অন্যতম কারণ ক্লিওপেট্রার মতো একজন সুন্দরী নারী। হেমন্ত কুমার রঘুও ঘটনা কতকটা তাই। মেধাবী ছাত্র ছিলেন। দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটির ইঞ্জিনিয়ার। বিদেশে বড় চাকরি করতেন। কিন্তু প্রেমে পড়েন বিহারের (Bihar) এক পানশালার লাস্যময়ী নর্তকীর। প্রেমিকার আবদার রাখতে রঘু এখন নীতীশকুমারের রাজ্যের দাগি দুষ্কৃতী। সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে। বিহার পুলিশ বলছে, রঘুর জীবন বলি ছবির চিত্রনাট্যকেও হার মানায়।
বছর চল্লিশের রঘু আদতে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। আইআইটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। এরপর দুবাইতে প্রবাসী হন। সেখানে একটি বহুজাতিক সংস্থায় মোটা মাইনের চাকরি করতেন। কিন্তু বিহারের মুজাফফরপুরের পানাশালর এক নর্তকীর প্রেমে পড়ে যান। এরপরই ১৮০ ডিগ্রি বাঁক নেয় হেমন্তের জীবন। বান্ধবীর আবদারে দুবাইয়ের চাকরি ছেড়ে মুজাফফরপুরে চলে আসেন তিনি। শুরুতে প্রেমিকাকে খুশি করতে জমানো সমস্ত টাকা উড়িয়ে দেন। এরপর পাকেচক্রে উপার্জনের জন্য অপরাধ জগতে পা দেন।
[আরও পড়ুন: আগেই খুনের পরিকল্পনা ছিল! আতিককে মারতে সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণও নেয় আততায়ীরা]
সম্প্রতি অন্য তিন অপরাধীর সঙ্গে রঘুকে গ্রেপ্তার করেছে বিহার পুলিশ। এক মহিলার ২.২ লক্ষ টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন আইআইটি ইঞ্জিনিয়ার রঘু ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধীদের থেকে নগদ টাকা ছাড়াও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। দু’টি বাইক পাওয়া গিয়েছে, সেগুলিও চুরি করা হয়েছিল। মুজাফফরপুরের ডিএসপি মনোজ পান্ডে জানান, রঘু বিহারে একটি অপরাধচক্র তৈরি করে ফেলেছিল। তিনি বলেন, “পেশাদার অপরাধীতে পরিণত হয়েছিল রঘু। জেরায় জানিয়েছে যে মুজাফফরপুর জেলার একাধিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ও।” বিহার পুলিশের মতো আমজনতারও বক্তব্য, আইআইটি ইঞ্জিনিয়ার থেকে দাগি দুষ্কৃতী হয়ে ওঠা রঘুর গল্প হিন্দি সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়।