সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল, না বিষ? দেশের ২৫টি রাজ্যের ২৩০টি জেলায় ভৌমজলে মিলল আর্সেনিক। শুধু তাই নয়, ফ্লোরাইডের অস্তিত্বও পাওয়া গিয়েছে ২৭ রাজ্যের ৪৬৯টি জেলার ভূগর্ভস্থ জলে। রাজ্যসভায় এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি রাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বেশ্বর টুডু।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ডের (CGWB) রিপোর্টে ভৌমজলে আর্সেনিক এবং ফ্লোরাইডের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছে। তবে বিষয়টি পুরোপুরি প্রাকৃতিক (জিওজেনিক)। বহু বছর ধরে একইভাবে রয়েছে। কোনও বিশেষ বদল দেখা যায়নি। জলশক্তির আওতাধীন সিজিডব্লিউবি, ভৌমজলের গুণাগুণ পরীক্ষার বিষয়টি দেখাশোনা করে। তারাই মূলত পর্যালোচনা করে, জল কতটা বিষাক্ত।
[আরও পড়ুন: বিধানসভায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ‘চোর’ স্লোগান! ৬০ TMC বিধায়কের বিরুদ্ধে FIR]
ফ্লোরাইড কিংবা আর্সেনিকের মাত্রা কতটা কমল-বাড়ল প্রভৃতি। তবে সময়ে সময়ে বিভিন্ন সমীক্ষার জন্য অন্যান্য সংস্থা-সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবেও কাজ করে। মন্ত্রীর কথায়, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস-এর অনুমোদিত মাত্রার তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে ফ্লোরাইড, আর্সেনিকের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে দেশের অধিকাংশ রাজ্যের ভূগর্ভস্থ জলে। ফলে এ কথা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট যে, সেই জল কোনওভাবেই পানযোগ্য নয়।
এর আগে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাইড্রোলজির সঙ্গে যৌথভাবে CGWB একটি সমীক্ষা রিপোর্ট ২০১০ সালে প্রকাশ্যে এনেছিল। সম্প্রতি জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (জিএসআই) সঙ্গে সিজিডব্লিউবি একটি মউ স্বাক্ষর করে, ভৌমজলের পর্যালোচনা সংক্রান্ত। অর্থাৎ জলে কতটা পরিমাণে আর্সেনিক বা ফ্লোরাইড আছে, তাদের পরিমাণ কমেছে না বেড়েছে- তা পরিমাপ করার। আটটি রাজ্যের দিকে বিশেষ নজর ছিল। যেমন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং অসম।