সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলিকে তথাকথিত সভ্য সমাজ যোগ্য মর্যাদা দেয় কি? শহরের এককোণে অপরিচ্ছন্ন বস্তির ছায়া মাড়াতে কজনই বা চাই! নোংরা বস্তির মানুষগুলিকেও আমরা নোংরা বলেই ভেবে নিই। একই শহরের বুকে যেন দুটি আলাদা পৃথিবীর সৃষ্টি হয়। একটি তথাকথিত সভ্য সমাজের রঙিন পৃথিবী। অপরটি বসতিবাসীর বেরঙিন জীবন। এই ব্যবধানটা কি কোনওভাবে ঘুচিয়ে দেওয়া যায় না? চেষ্টা তো অন্তত করাই যায়, মুম্বইয়ের রাবল নাগির মতো। কার্যত একার হাতে এই মহিলা শিল্পী প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন, অট্টালিকা আর বস্তিবাসীর এই বিভেদ ঘুচিয়ে দিতে।
[ছ’দশক ধরে মূক-বধিরের অভিনয়! সত্যি জেনে বিচ্ছেদের মামলা স্ত্রী’র]
কীভাবে? সামনেই তো হলি। রঙের উৎসব। মেতে উঠবে গোটা পৃথিবী। আর রঙের উৎসবে সাম্যের বার্তা দিতে রাবাল নাগি রাঙিয়ে দিচ্ছেন পুনের বসতিগুলিকে। পুণের যে নোংরা বসতিগুলির দিকে কেউ ঘুরেও তাকাত না, সেই বসতিই এখন নজর কাড়ছে শহরবাসীর। রাবলের উদ্যোগ বসতি এখন এতটাই রঙিন যে অন্য শহর থেকে যারা পুণে যাচ্ছেন তারাও একবার ঘুরে দেখছেন এই রঙিন বসতি। প্রতিটি দেওয়ালে আলাদা আলাদা রঙ। কোনওটা নীল, কোনওটা সবুজ আবার কোনওটা আবির রঙে নাওয়া। এ যেন সাতরঙা রামধনূ। বিভেদ ভুলে যা মিলিয়ে দেবে উঁচু-নিচু সকলকে।
[দূরদর্শনের সিগনেচার টিউনে ব্রেক ডান্স, ভাইরাল ভিডিও]
রাবল এখন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চালান। রাবল নাগি আর্ট ফাউন্ডেশন নামের এনজিওটি ‘মিসাল মুম্বই’ নামের একটি প্রকল্প চালাচ্ছে। যার উদ্দেশ্য শহরের বসতিগুলিকে রঙিন করার। নাগির ধারণা, এতে মানুষে মানুষে ব্যবধান ঘুচবে। কিছুটা হলেও বাড়তি গুরুত্ব পাবেন বসতিবাসী। তিনি বলেন, “আমি শিল্পের মাধ্যমে মানুষে মানুষে যোগাযোগ সাধন করতে চাই, মূল উদ্দেশ্যটা মানুষের মানসিকতায় পরিবর্তন আনা।” আসলে রংই তো মানুষের মেলবন্ধনের চাবিকাঠি। তাই, ওদের বেরঙিন পৃথিবীটাকে রাঙিয়ে তোলার এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে নেটিজেনরাও। প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন রাবলকে।
The post মানসিকতার বদল আনতে বসতি রাঙিয়ে দিচ্ছেন এই শিল্পী appeared first on Sangbad Pratidin.