সুকুমার সরকার, ঢাকা: ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সস্ত্রীক পুজো দিয়ে বাংলাদেশের কার্যসুচি শুরু করলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিন দিনের সফরে বুধবার বিকেলে তিনি ঢাকা পৌঁছন। এদিন ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রবেশ করলে ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পুজো কমিটির সদস্য-সহ তাঁকে সংবর্ধনা জানান বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রায় ১০ মিনিট মন্দিরে ছিলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী। পুজোর পর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অরুণ জেটলি ও তাঁর স্ত্রীকে ২টি ছোট প্রতিমা উপহার দেওয়া হয়। ওই সময় মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি ডি এন চ্যাটার্জি, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল রায় ও ভারতীয় হাই কমিশনের অন্যান্য আধিকারিকরা।
[রাম রহিম, হানিপ্রীতকে নিয়ে আচমকাই টুইট করে বিতর্কে জড়াল রাষ্ট্রসংঘ]
এদিন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রির সম্পর্ক আরও মজবুত করে ‘থার্ড লাইন অফ ক্রেডিট’ বা ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেন জেটলি। তিনি জানান, এই প্রকল্পের অন্তর্গত বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ দেবে ভারত। এই অর্থ দিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, রেলপখ, সড়ক, জাহাজ চলাচল ও বন্দর-সহ পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে। ঋণ পরিশোধের জন্য ২০ বছরের সময় ধার্য্য করা হয়েছে। এবং নাম মাত্র ১ শতাংশ সুদ দিতে হবে বাংলাদেশকে। এদিন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও অরুন জেটলির মধ্যে এই সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
চলতি বছর এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় বাংলাদেশের জন্য এই সাড়ে চারশো কোটি ডলার ঋণের ঘোষণা করে নয়াদিল্লি। এর আগে ২০১০ সালে ‘ফার্স্ট লাইন অফ ক্রেডিট’-র আওতায় বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেয় ভারত। ওই ঋণের আওতায় নেওয়া ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে ১২টির কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে বলে বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে।
[স্কুলে ছড়াচ্ছে মাদক মেশানো ক্যান্ডি, জারি সতর্কতা]