সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-চিন সীমান্তে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও মজবুত করছে মোদি সরকার। মণিপুর লাগোয়া মায়ানমার সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে রেলপথ। এতদিন অরুণাচল লাগোয়া চিন সীমান্তে দ্রুত সেনাবাহিনী ও যুদ্ধ ট্যাংক পৌঁছে দিতে তৈরি হচ্ছে সড়কপথও। এবার অরুণাচল প্রদেশে প্রথম গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সারাবছর যে কোনও আবহাওয়ায় এই বিমানবন্দরে ওঠানামা করতে পারবে বিমান। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র যাত্রীবাহী বিমান নয়, এই রানওয়েতে ওঠানামা করতে পারবে যুদ্ধবিমানও।
২০১৯ সালে অরুণাচলের (Arunachal Pradesh) ইটানগরের হলঙ্গিতে এই বিমানবন্দরের শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। ২০২২-এর নভেম্বরে দোনি পোলো বিমানবন্দরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে বিরোধীদের নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “২০১৯ সালে যখন বিমানবন্দরের শিলান্যাস করেছিলাম, সকলে বলেছিল এটা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। কিন্তু দেখুন আজ বিমানবন্দরের উদ্বোধন করলাম। রাজনীতিবিদদের পুরনো ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। সবকিছুতে রাজনীতি খুঁজতে যাওয়া উচিত নয়।” অরুণাচলে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের প্রশংসা করে মোদি বলেন, উন্নয়নকাজ আর আটকে রাখা যাবে না।
[আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি: এবার মুর্শিদাবাদের স্কুল ইন্সপেক্টরদের CBI তলব]
সরকারি সূত্রে খবর, ৬৯০ একর জমির উপর গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৬৪০ কোটি টাকা। ২৩০০ মিটার লম্বা রানওয়েতে সারা বছর যে কোনও প্রতিকূল আবহাওয়ায় ওঠানামা করতে পারবে বিমান। গভীর জঙ্গলের মধ্যে বনাঞ্চল সাফ করে সম্পূর্ণ নতুন করে তৈরি হয়েছে বিমানবন্দরটি। রয়েছে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহারের ব্যবস্থা। নামেও রয়েছে অরুণাচলের ঐতিহ্যের ছোঁয়া। দোনি শব্দের অর্থ সূর্য ও পোলো শব্দের অর্থ চাঁদ। এনিয়ে ২০১৪ সাল থেকে দেশজুড়ে ৭টি বিমানবন্দরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারের আশা, এই বিমানবন্দর হওয়ার ফলে পর্যটন, বাণিজ্য ও যোগাযোগ সবটাই সহজ হবে। তবে দ্রুত গতিতে এই বিমানবন্দর তৈরির পিছনে অন্য কারণ দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।
ভারত-চিন সীমান্তে পরিবহণ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিপূর্বে অসমের সঙ্গে অরুণাচলের যোগাযোগ বাড়াতে ৯ কিলোমিটার লম্বা ঢোলা সাদিয়া সেতু তৈরি হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এই সেতুর মাধ্যমে প্রয়োজনে সেনা ও ট্যাংক সহজেই অরুণাচলে পৌঁছে যেতে পারে। এদিকে গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকেই এই যোগাযোগ আরও বাড়ানো হচ্ছে। তারই একটা ধাপ এই বিমানবন্দরের উদ্বোধন।