সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রেপ্তার হলেও জেল থেকেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার চালাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছে আম আদমি পার্টি। সেই মতো জেলে বসেই দিল্লি সরকারের জল দপ্তরকে একটি নোটিস পাঠিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কেজরির পাঠানো চিরকুট নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়েছেন আপের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী অতীশী। এই ঘটনায় প্রশ্ন তুলল ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জেলের মধ্যে কোনও কম্পিউটার বা লেখার কাগজ দেওয়া হয়নি তাহলে জেল থেকে কীভাবে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী? সূত্রের খবর, এই ঘটনার তদন্ত শুরু করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামালায় গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে কেজরিওয়ালকে। আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজত দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এরই মাঝে সাংবাদিক বৈঠক করে অতীশী বলেন, ইডি হেফাজতে যাওয়ার পর প্রথম সরকারি নির্দেশিকা জারি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একটি নোট লিখে জলমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন তিনি। সেই নোট তুলে ধরে অতীশী বলেন, “অরবিন্দ কেজরিওয়ালজি আমাকে একটি চিঠি এবং একটি নির্দেশ পাঠিয়েছেন। যেটি পড়ে আমার চোখে জল চলে আসে। কে এই লোকটি, যিনি জেলে থেকে দিল্লির বাসিন্দাদের জল এবং নিকাশি সমস্যা নিয়ে ভাবছেন। একমাত্র অরবিন্দ কেজরিওয়ালই এটা করতে পারেন, কারণ তিনি নিজেকে দিল্লির ২ কোটি মানুষের পরিবারের সদস্য বলে মনে করেন।” যদিও জেল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ নিয়ে রীতিমতো সন্দেহ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
[আরও পড়ুন: ‘খুব কঠিন সিদ্ধান্ত’, লোকসভার লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিং]
ইডির অনুমান, এই ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতার। রবিবার তিনি ইডি দপ্তরে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন কেজরিওয়ালের সঙ্গে। সেই সময়ে তাঁর হাতে ছিল বেশ কিছু কাগজপত্র। সাক্ষাতের পর তিনি বেরিয়ে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকজন কর্মীর চোখে পড়ে তা। ইডি সূত্রের খবর, কীভাবে জেল থেকে তিনি নির্দেশ দিলেন তাঁর তদন্ত করা হবে।
[আরও পড়ুন: বসন্তে পলাশের রং JNU-তে, তিন দশক পর দলিত সভাপতি পেল ছাত্র সংগঠন]
যদিও এই গোটা ঘটনাকে সাজানো বলে তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দুষ্মন্ত কুমার বলেন, জেল থেকে শুধু গ্যাং চলতে পারে, সরকার চলে না। তাঁর দাবি, “এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক মুখ্যমন্ত্রী জেলে রয়েছেন এবং তাঁর একগুয়েমির কারণে সেখান থেকেই সরকার চালাতে চাইছেন। ভারতের ইতিহাসে এটা কখনও হয়নি। এটা গণতন্ত্রের অপমান। সমস্ত প্রমাণ তাঁর বিরুদ্ধে। নিজের কর্মের ফল ভোগ করছেন উনি। তারপরও একগুয়েমি করে যাচ্ছেন।”