সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আপ সমর্থকদের আনন্দ বদলে গেল বিষাদে। বৃহস্পতিবারই নিম্ন আদালত জামিন দিয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal)। কিন্তু শুক্রবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মুক্তি আটকাতে তৎপর ইডি দ্বারস্থ হয়েছিল দিল্লি হাই কোর্টের। এবার নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিল উচ্চ আদালত। ইডির আর্জি, বাতিল করা হোক নিম্ন আদালতের নির্দেশ। সেই আর্জির শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কেজরির জামিনে স্থগিতাদেশ দিল হাই কোর্ট। পরবর্তী শুনানি ২৫ জুন।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতির অভিযোগে কেজরিওয়ালকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল ইডি (ED)। সপ্তাহদুয়েক পরে তাঁকে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে। ইডির গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। পরে সুপ্রিম নির্দেশে ২১ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান তিনি। জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন শুনতেই রাজি হয়নি। গত ১০ মে কেজরিকে ২১ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়। অর্থাৎ ১ জুন নির্বাচনের ফল বেরনোর দিন অবধি অন্তর্বর্তী জামিন দেয় শীর্ষ আদালত। ২ জুন আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন আপ সুপ্রিমো।
এর পর ফের জামিনের আবেদন করেন কেজরি। কিন্তু ইডি দাবি করে, আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার ঘুষ চাওয়ার প্রমাণ তাঁদের হাতে রয়েছে। এ নিয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন।
[আরও পড়ুন: সিপিএম সঙ্গ নিয়ে কংগ্রেসে মুষলপর্ব! প্রদেশ সভাপতির পদ খোয়াতে পারেন অধীর]
এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জামিন পান কেজরিওয়াল। জানা যায় শুক্রবার মুক্তি পাবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তবে তখনই জানা গিয়েছিল নিম্ন আদালতের বিরোধিতা করে শুক্রবারই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবে ইডি। শেষপর্যন্ত তাদের আবেদনের পরই উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত হয়ে গেল কেজরির জামিন। পরিষ্কার হয়ে গেল, আপাতত তাঁকে জেলবন্দিই থাকতে হবে।