সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁকে একা নয়। বিরোধী শিবিরের সব মুখ্যমন্ত্রীকেই টার্গেট করছে বিজেপি। ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেই বিস্ফোরণ ঘটালেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে তাঁর আর্জি, "পরিস্থিতি যাই হোক, ইস্তফা দেবেন না। দরকারে জেল থেকে সরকার চালাবেন।"
আবগারি দুর্নীতি মামলায় মার্চ মাসে গ্রেপ্তার হন কেজরিওয়াল। তার পর ৬ মাস জেল থেকেই সরকার চালিয়েছেন। তিনি যখন জেলে ছিলেন, তখন বারবার তাঁর ইস্তফা চেয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির দাবি করেছে, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। বিজেপির সেই প্রবল চাপেও ইস্তফা দেননি আপ সুপ্রিমো। কেজরি বলছেন, "ইস্তফা দিইনি কারণ দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। এটা বিজেপি-র নয়া ফর্মুলা। যেখানে যেখানে হেরেছে, সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা করে, গ্রেপ্তার করে সরকার ফেলার দেওয়ার চেষ্টা করে।"
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রবিবার ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। কিন্তু অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের কোনও পরিস্থিতিতেই ইস্তফা না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। কেজরির বক্তব্য, "হেমন্ত সোরেন, সিদ্দারামাইয়া, পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও একই জিনিস চলছে। বিরোধী শিবিরের একজন মুখ্যমন্ত্রীকেও ছাড়ে না এরা। ভুয়ো মামলা করে, জেলে ঢোকায়।দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের হতজোড় করে বলব, প্রধানমন্ত্রী যদি জেলে ঢোকানোর হিম্মত দেখান, ইস্তফা দেবেন না। জেল থেকে সরকার চালান।"
কেজরির যুক্তি, "আমরা কেউ লোভী নই। চেয়ার আঁকড়ে পড়ে থাকার বাসনা নেই। কিন্তু সবিধান, দেশ, গণতন্ত্রকে বাঁচানোটা জরুরি। যে সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে নির্বাচিত হচ্ছে, সেই সরকাকে জেলে ভরছে, ইস্তফা চাইছে। সকল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, ওদের এই নতুন ফর্মুলা ব্যর্থ করে দিন।"