অর্ণব আইচ: সামনে খাবারের থালা বানানোর কারখানা। আর মাটির নিচে অস্ত্রভাণ্ডার! সেখানে রমরমিয়ে তৈরি হচ্ছে দেশি পিস্তল। পাচার হয়ে যাচ্ছে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স, বিহার পুলিশের এসটিএফ এবং তারাপুর পুলিশের যৌথ অভিযানে পর্দাফাঁস হল সেই কারবারের। অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্রও।
বিহারের মুঙ্গের জেলার গাজীপুর থানা এলাকার মহম্মদ মোনাজিরের বাড়িতে হানা দেয় যৌথ বাহিনী। দেখা যায়, সেখানে রমরমিয়ে থালা তৈরির কারখানা চলছে। তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে আসে আসল ছবি। মাটির নিচে রয়েছে গোপন কুঠুরি। সেখানে রয়েছে নানা ধরনের মেশিন। যেখানে তৈরি হত আগ্নেয়াস্ত্র।
অভিযানে উদ্ধার হয়েছে সেভেন এমএম-এর ছটি পিস্তল, ছটি পিস্তলের বাট। একটি লেদ মেশিন, একটি মিলিং মেশিন, একটি ড্রিল মেশিন, একটি গ্রাউন্ডিং এবং একটি পলিশিং মেশিনও মিলেছে। এছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির বহু কাঁচামালও মিলেছে। পুলিশের দাবি, মহম্মদ মোনাজির, তার ভাই মহম্মদ নাসিং এবং তাদের সাগরেদ ইরশিদ মালিক বাসন তৈরির কারখানার আড়ালে অস্ত্রের ব্যবসা করত। গোপন কুঠুরিতে তৈরি করত আগ্নেয়াস্ত্র। তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুঙ্গের থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। উল্লেখ্য, গত তিন বছরে বিহারে একের পর এক অস্ত্র কারখানার উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৪টি কারখানার পর্দাফাঁস করেছে পুলিশ।