সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও নথিপত্র না দেখিয়েই বাড়িতে তল্লাশি। বাড়ির ভিতর সাক্ষ্য গোপনে রেখে তারপর অভিযান। এরকম একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের স্বামী জে রাজু। সোমবার হাই কোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন তিনি।
[ ভারতী ঘোষকে নোটিস সিআইডির, অবিলম্বে হাজিরার নির্দেশ ]
সম্প্রতি রাজ্যে খবরের শিরোনামে প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ। এককালে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহধন্যা হিসেবেই চিনতেন রাজ্যবাসী। পশ্চিম মেদিনীপুরুর মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলার পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁর দাপট ও কর্মদক্ষতাও নিয়েও এতদিন কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু কিছুদিন আগে থেকেই চেনা সমীকরণ বদলাতে থাকে। ভারতীকে বদলি করে পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল করা হয়। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপরই পুরনো এক অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীর নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। ভারতীর অভিযোগ, তল্লাশি চালাতে গেলে কিছু কাগজপত্র দেখাতে হয়। তা তো সিআইডি দেখায়নি, উলটে তাঁর স্বামী যাতে আইনজীবীর সঙ্গে কথা না বলতে পারেন, সে কারণে ফোন লাইনও কেটে দেওয়া হয়। হেনস্তা করা হয় তাঁর স্বামীকে। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করে সিআইডি। এরপর ভারতীর মাদুরদহের বাড়িতেও তল্লাশি চালায়। রাজ্যের বাইরে থেকে এই ঘটনায় যারপরনাই বিস্মিত ভারতী জানান, কয়েকদিন ধরেই বাড়িতে সিআইডির আনাগোনা। বিভিন্ন প্রমাণ রেখেই তারপর অভিযান চালানো হয়। উল্লেখ্য, সোমবারই গ্রেপ্তার করা হয় ওই বাড়ির কেয়ারটেকারকে। সিআইডির দাবি, ‘তোলা’র টাকা সরাতে সাহায্য করেছেন তিনি। ভারতীর গ্রেপ্তারিও স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছিলেন অনেকেই। সিআইডি-র এই অতিসক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করেই এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন তাঁর স্বামী।
[ মেট্রোয় অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র কই? জায়গা ঢেকেছে বিজ্ঞাপনে ]
তল্লাশি চালানোর ক্ষেত্রে কিছু বিধি আছে। তা বারবার ভাঙা হচ্ছিল বলেই অভিযোগ করেছিলেন ভারতী। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, যাঁরা তল্লাশি চালাচ্ছেন তাঁরা পুলিশ না ডাকাত। কার্যত সেই সুরকে প্রতিষ্ঠা দিয়েই এদিন হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন জে রাজু। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে এই আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
[ চিংড়িঘাটা থেকে শিক্ষা, সাইকেল আরোহীদের জন্য পৃথক জোনের ভাবনা ]
The post সিআইডির ‘অতিসক্রিয়তা’, সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ ভারতীর স্বামী appeared first on Sangbad Pratidin.