সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি অপ্রতিরোধ্য। তিনি শক্তিশালী রাষ্ট্রনায়ক। হাবেভাবেও ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ভাবমূর্তি। এমনও গুঞ্জন, ভদ্রলোক নাকি অমর! ১৯২০ সালের ছবিতেও নাকি দেখা গিয়েছে তাঁকে! গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা করার পর থেকে ফের সারা বিশ্বের চোখ রুশ (Russia) প্রেসিডেন্টের দিকে। আর এবার কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে সেই মিথ। অনেকেই মনে করছেন, একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন পুতিন।
[আরও পড়ুন: প্রাণীবিদ্যা ও দর্শনে স্নাতকোত্তর শিক্ষিকাই করাচির হামলার আত্মঘাতী জঙ্গি! প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য]
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া। প্রবল বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়লেও কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হয়েছে তাঁর বাহিনী। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নেতৃত্বে পালটা আঘাত হেনেই চলেছে ইউক্রেনের বাহিনী। এহেন পরিস্থিতিতে পুতিন যে চাপের মুখে রয়েছেন তা স্পষ্ট। যুদ্ধের উত্তেজনা, আমেরিকা ও ন্যাটোর সঙ্গে সংঘাতের আশঙ্কা এবং নিজের বাহিনীর ‘বিফলতা’র ফলে মানসিক ধাক্কা খেয়েছেন পুতিন। এবং ঘটনাবলীর প্রভাব যে তাঁর শরীরেও পড়ছে সেই বিষয়ে একমত হয়েছেন অনেকে। সম্প্রতি সিডনির এক কসমেটিক সার্জন ইনস্টাগ্রামে পুতিনের ভিন্ন বয়সের দু’টি ছবি পোস্ট করেছেন। তাঁর দাবি, যৌবন ধরে রাখতে মুখে বোটক্স প্রয়োগ করছেন পুতিন। এবং এর ফলে তাঁকে দেখতে অনেকটা ‘বুড়ো বিড়ালের’ মতো লাগছে।
এবার প্রশ্ন হচ্ছে, মুখে কেন কসমেটিক সার্জারি করেছেন পুতিন? news.com.au. নামের এক সংবাদমধ্যম প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সামনে নিজের ‘স্ট্র্ং ম্যান’ ইমেজ ধরে রাখতেই এসব প্রচেষ্টা পুতিনের। কিছুতেই বয়সজনিত দুর্বলতা প্রকাশ্যে আনতে চান না তিনি। ‘New York Post’ দাবি করেছে, সম্প্রতি দেশের অলিম্পিক খেলোয়াড়দের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে দেখা যায় পুতিনকে। সেখানে তোলা ছবিতে রুশ প্রেসিডেন্টকে স্পষ্টতই ফ্যাকাশে লাগছিল। কয়েকদিন আগে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে এক বৈঠকে পুতিনকে টেবিল আঁকড়ে বসে থাকতে দেখা যায়। ছবিতে মনে হচ্ছিল তিনি অত্যন্ত দুর্বল।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, ব্রিটেন ও আমেরিকা- এই পাঁচটি দেশের গোয়েন্দাদের জোট ‘ফাইভ আইজ’। সেই জোটের দাবি, পুতিনের সাম্প্রতিক ফুটেজ থেকে মনে হচ্ছে, তাঁর শরীরে একটা ফোলা ভাব রয়েছে। এমনকী, কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ তাঁকে করতে দেখা যাচ্ছে। এমনকী, গত পাঁচ বছরের তুলনায় তাঁর সিদ্ধান্তেও বদল দেখা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে কিছুটা অসংলগ্ন রুশ প্রেসিডেন্টের আচরণ। দাবি, ক্যানসার জাতীয় কোনও গুরুতর অসুখে ভুগছেন পুতিন। ভুগছেন ডিমেনশিয়া অর্থাৎ স্মৃতিভ্রংশের অসুখে। আর সেই কারণেই তাঁকে নানা ধরনের স্টেরয়েড নিতে হচ্ছে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেই নানা সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এমনকী, এই অসুস্থতার কারণেই শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুতিন, এমনও দাবি ওই গোয়েন্দা সংস্থার।