শেখর চন্দ্র, আসানসোল: রাজ্যের ১৮ টি প্রকল্পের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে বা গ্রামে গ্রামে শিবির করা হচ্ছে। মানুষজন লাইন দিয়ে সেই পরিষেবার জন্য ফর্ম তুলছেন এবং জমা করছেন। শিবিরে উপচে পড়ছে ভিড়। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা মানুষজন বঞ্চিত হচ্ছেন পরিষেবা থেকে। বিশেষ করে শহরের বৃদ্ধাশ্রম বা সেন্টারে থাকা ভবঘুরেরা। তাই তাঁদের জন্য অভিনব উদ্যোগ নিল আসানসোল পুরনিগম।
আসানসোল পুরনিগম শহর থেকে দূরে দামোদরের তীরে জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় অবস্থিত ঢাকেশ্বরী বৃদ্ধাশ্রম। আর সেই বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের কাছেই পৌঁছে গেলেন পুরনিগমের কর্মীরা। কারও প্রয়োজন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তো কারওর প্রয়োজন বার্ধক্যভাতা, কারও আবার বিধবাভাতা। আবার ভোটার কার্ড নেই কারওর। এই সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে আবাসিকদের ফর্ম ফিলাপ করে জমা নেওয়া হল।
[আরও পড়ুন: পথকুকুরের প্রাণ বাঁচাতে রক্ত দিল রাস্তার সারমেয়রাই! বিরল দৃষ্টান্তের সাক্ষী সিউড়ি]
বর্তমানে আসানসোল পুরবোর্ডের সদস্য পদের দায়িত্ব পেয়েছেন সমাজকর্মী তথা ফুডম্যান চন্দ্রশেখর কুণ্ডু। অরাজনৈতিক এই ব্যক্তি বিশেষ উদ্যোগ নিলেন শহরের সমস্ত বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের জন্য দুয়ারের সরকার কর্মসূচিকে পৌঁছে দেওয়ার। অভিনব এই কর্মসূচি শুরু হল এই ঢাকেরশরী বৃদ্ধাশ্রম থেকে। পুরবোর্ডের সদস্য তথা সমাজকর্মীর চন্দ্রশেখর কুণ্ডুর দাবি, রাজ্যের প্রকল্পগুলির পরিষেবা পৌঁছাতে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার। সরকারের পরিষেবা এবার দুয়ার ছাড়িয়ে চৌকাঠে কিংবা বাড়ির অন্দরমহলে পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য। তিনি বলেন, এই উদ্যোগ শুরু হল শনিবার থেকে। আবাসিকদের পক্ষ থেকে ঢাকেশ্বরী প্রান্তিক বৃদ্ধাশ্রমের দায়িত্বে থাকা অর্চনা ঘোষ বলেন, পুরনিগমের এই উদ্যোগে আমরা খুব খুশি। অসহায় মানুষগুলি এবার সরকারি পরিষেবা পাবেন বলে আশা রাখছি।
প্রসঙ্গত, এর আগে ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) শিবিরের সাফল্য নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৬ আগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত ৩ কোটিরও বেশি মানুষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে এসে নানা প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন বলে টুইটে উল্লেখও করেন তিনি। রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের জানান শুভেচ্ছাও।