সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল কি বিশেষ সুবিধা পেয়েছিলেন আসানসোল জেলে? বহুচর্চিত প্রশ্নের উত্তর জানতে এবার আসানসোল সংশোধানাগারের সুপার কৃপায়ম নন্দীকে জেরা করবে ইডি। বুধবার সকালে পৌনে এগারোটা নাগাদ দিল্লির ইডি ভবনে পৌঁছে গিয়েছেন জেল সুপার।
সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার টানা কয়েকমাস আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। একই জেলে একসময় ছিলেন সায়গল হোসেন, এনামুলরা। বারবার অভিযোগ উঠেছে, জেলে থাকাকালীন বিশেষ সুবিধা পেয়েছেন গরু ও কয়লা পাচার মামলায় ধৃতরা। এমনকী, জেলে থাকাকালীন দলের রাশ নিয়ন্ত্রণ করেছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত। জেলে মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি না থাকলেও বহাল তবিয়তে নাকি সেই মোবাইল ব্যবহার করেছিলেন কেষ্ট। প্রয়োজনে জেল সুপারের ফোন থেকেও নাকি প্রয়োজনীয় কথাবার্তা সারতেন। এধরনের একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগে জর্জ্জরিত আসানসোল জেলের সুপার কৃপাময় নন্দী।
[আরও পড়ুন: চব্বিশে বিরোধী জোটের ফর্মুলা কী? সূত্র দিলেন অভিষেক]়
এই সমস্ত সুবিধার প্রেক্ষিতে আর্থিকভাবে কি লাভবান হয়েছিলেন কৃপাময়? নাকি অন্য কোনও সুবিধা পেয়েছিলেন? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে আসানসোল জেলের সুপারকে তলব করে ইডি। এদিন সময়মতো ইডির সদরদপ্তরে হাজির হন তিনি। আপাতত কৃপাময় নন্দীকে জেরা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।