সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১১৬ তম ‘মন কি বাত’ রেডিও অনুষ্ঠানে স্মৃতিকাতর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার এনসিসি দিবস। আর সেই উপলক্ষে আজ তাঁর মাসিক বেতার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় নিজের অতীত অভিজ্ঞতার কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তিনি।
এদিন তাঁকে বলতে শোনা যায়, ''আজ বড় বিশেষ একটি দিন। আজ এনসিসি দিবস। এনসিসির নাম উঠলেই মনে পড়ে যায় আমাদের স্কুল-কলেজের দিনগুলো। আমি নিজে এনসিসি ক্যাডেট ছিলাম। আর সেই কারণেই পূর্ণ বিশ্বাস থেকে বলতে পারি সেই অভিজ্ঞতা বড়ই অমূল্য। এনসিসি যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে অনুশাসন, নেতৃত্ব ও সেবার আদর্শকে ছড়িয়ে দেয়। আর সেই কারণেই আমি তরুণ প্রজন্মকে বলতে চাই, তাঁরা যেন সকলে এনসিসিতে যুক্ত হয়। এনসিসির অভিজ্ঞতা তাঁদের ব্যক্তিত্বের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এবং তাঁদের জীবনকে সমৃদ্ধ করবে।''
পাশাপাশি এদিন মোদির কথায় উঠে আসে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট প্রসঙ্গও। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''আপনারা জানেন সমস্ত পেনশনভোগীকেই বছরে একবার করে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে হয়। ২০১৪ সাল পর্যন্ত নিয়ম ছিল, বয়স্ক ব্যক্তিদের নিজে ব্যাঙ্কে গিয়ে তা জমা দিতে হত। যা থেকে কল্পনা করা যায়, তাঁদের কতটা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হত। এখন এই অবস্থা বদলেছে। এখন ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সরল হয়ে গিয়েছে। বয়স্কদের আর ব্যাঙ্কে যেতে হয় না সেজন্য।''
এদিন মোদির কথায় উঠে আসে চেন্নাইয়ের 'প্রকৃত আরিভাগাম' নামের গ্রন্থাগারের কথাও। শ্রীরাম গোপালন নামের এক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, যিনি দেশের বাইরে দীর্ঘদিন ছিলেন তিনি দেশে ফিরে শিশুদের জন্য এই গ্রন্থাগার শুরু করেন। এখন সেখানে তিন হাজারের উপর বই রয়েছে। শিশুরা সেখানে এসে জ্ঞান আহরণে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিদেশে নিজের কর্মব্যস্ততার মাঝেই শিশুদের মধ্যে পাঠাভ্যাস বাড়াতে তিনি এমন পরিকল্পনা করেছিলেন। একথা জানিয়ে তাঁর প্রশংসায় মুখর হন প্রধানমন্ত্রী।