শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ভুল টিকা দেওয়ায় শিশুমৃত্যুর জের। স্বাস্থ্যকর্মীদের আটকে রেখে আশাকর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ মৃতের পরিবারের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধুপগুড়িতে। মারধরের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ি (Dhupguri) ব্লকের ঝাড়আলতা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য খট্টিমারির বাসিন্দা প্রসেনজিৎ রায় ও শ্রাবণী রায়। তাঁদের তিন মাস বয়সী পুত্রসন্তান ছিল, নাম ধ্রুব। বৃহস্পতিবার দুপুরের খুদেকে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শিশুটি ভ্যাকসিন দিয়ে ফেরার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে। সন্ধেয় জ্বর আসে ধ্রুবর। সাধারণত ভ্যাকসিন দেওয়ার পর জ্বর হয়, তাই বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেননি ধ্রুবর বাবা-মা। রাত ১২ টা ধ্রুবর অবস্থার উন্নতি হয়।
[আরও পড়ুন: রিয়ালিটি শো ‘সারেগামাপা’র মঞ্চে গান গাওয়ায় কুরুচিকর মন্তব্য, কড়া জবাব জোজোর]
কিন্তু ভোর চারটা নাগাদ দেখা যায় ধ্রুবর নাক দিয়ে ফেনা জাতীয় কিছু একটা বের হচ্ছে। সেই সঙ্গে রক্তও বের হয় বলে পরিবারের দাবি। এরপর তড়িঘড়ি খুদেকে ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক খুদেকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খুদের পরিবারের দাবি, আড়াই মাসের বাচ্চাদের যে টিকা দেওয়ার কথা সেটি দেওয়া হয়েছিল ৩ মাস ১৯ দিন বয়সী ধ্রুবকে। সেই কারণেই এই পরিণতি শিশুর। সেই ঘটনার জেরেই এদিন উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। সোমবার সকালে স্বাস্থ্যকর্মীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছতেই তাঁদের একটি ঘরে আটতে দেওয়া হয়। এরপর সেখানে যান ভারতী রায় নামে এক আশাকর্মী।
অভিযোগ, সেই সময় বেধড়ক মারধর করা হয় ভারতীকে। চুলের মুঠি ধরে মারধরের পাশাপাশি মেঝেয় ঢুকে দেওয়া হয় মাথা। এই অত্যাচারের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।