ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: সামান্য জ্বর-সর্দি অবহেলা করলে ফল হতে পারে ভয়াবহ। তাই ইনফ্লুয়েঞ্জা হলেও হেলাফেলা করা উচিৎ নয়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Health Ministry) নির্দেশকে সামনে রেখেই ফের বাড়ি-বাড়ি খোঁজ শুরু করছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে তাঁরাই খোঁজ নেবেন এমন ‘অসুস্থ’ ব্যক্তিদের।
সারি (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটারি সিনড্রোম) কে আলাদা করে না দেখে কোভিড (COVID-19) প্রোটোকল মেনেই চিকিৎসা করতে হবে। সরকারি হাসপাতাল থেকে নিখরচায় আরটি-পিসিআর (RTPCR) পরীক্ষা করতে হবে। কোভিড পজিটিভ চিহ্নিত হলে বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকতে হবে। আর যাঁদের তা সম্ভব নয়, তেমন ব্যক্তিদের জন্যই ফের রাজ্যের কয়েকটি জেলায় চালু হচ্ছে সেফ হোম। মঙ্গলবার ২৭টি স্বাস্থ্য জেলার সঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের ভিডিও কনফারেন্সে এই বক্তব্যই উঠে এসেছে। স্বাস্থ্যকর্তাদের বক্তব্য মূলত কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনা জেলা নিয়েই উদ্বেগ বেশি। কোভিডবিধি কোনওভাবেই মানা হচ্ছে না। মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার ব্যবহার আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এই জন্য চাই ব্যাপক প্রচার। জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের ফের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন ; বিনয়পন্থীদের পালটা তিন প্রার্থী ঘোষণা গুরুংপন্থীদের, কাকে সমর্থন করবে তৃণমূল?]
কোভিড আক্রান্ত কারা, তা জানতে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। জেনে নেবেন কারও কোনও অসুবিধা আছে কিনা। জ্বর-সর্দি থাকলেও অবিলম্বে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে করোনা পরীক্ষা করতে হবে। রাজ্যের সেফ হোমগুলিতে উপসর্গহীন কোভিড রোগী নেই বললেই চলে। অধিকাংশ মানুষই বাড়িতে থাকতেই স্বাচ্ছ্ন্দ্য বোধ করেন। তাই টেলি মেডিসিন আবার চালু হচ্ছে।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে কলকাতা-সহ রাজ্যের সব কোভিড হাসপাতালকে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শয্যা সংখ্যা বাড়াতে বলা হয়েছে। সব জেলাকে আগামী তিনদিনের মধ্যে গড়ে একহাজার পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।