সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেসের সভাপতি পদের (Congress President) দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। রাজস্থান কংগ্রেসের বিদ্রোহের জন্য সোনিয়া গান্ধীর কাছে ক্ষমা চেয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের সবচেয়ে পছন্দের প্রার্থী ছিলেন গেহলট। কিন্তু তাঁর অনুগামী বিধায়করা ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে সরকার পড়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় রাজস্থানে। শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মেনে নিতে না চেয়ে কার্যত বিদ্রোহ শুরু করে দেন গেহলটপন্থী বিধায়করা। বৃহস্পতিবার সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন গেহলট।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গেহলট বলেছেন, “এই পরিস্থিতিতে আমি কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়াই করব না। আমার নৈতিকতাকে দাম দিয়ে আমি এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সঙ্গে আমি কথা বলেছি। দু’দিন আগে যা ঘটেছে, তাতে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছি। আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে চাই বলেই এত সমস্যা তৈরি হয়েছে, এমনটাই শোনা গিয়েছিল। সেই জন্যই আমি সোনিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়েছি।”
[আরও পড়ুন: এবার গাড়িতে থাকতেই হবে অন্তত ৬টি এয়ারব্যাগ, অক্টোবর থেকেই চালু নয়া নিয়ম]
গেহলট আরও বলেছেন, “কোচিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকেই সভাপতি পদে লড়াই করতে বলেছিলাম। তিনি আমার কথা না শোনার ফলেই আমি নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, তাতে আমার পক্ষে নির্বাচনে লড়া সম্ভব নয়।” সেক্ষেত্রে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে নিজের জায়গা সুরক্ষিত করে ফেললেন গেহলট, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। কিন্তু গেহলট বলেছেন, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনি থাকবেন কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন সোনিয়া গান্ধী নিজেই।
গেহলট সরে দাঁড়ানোয় লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন দিগ্বিজয় সিং ও শশী থারুর (Shashi Tharoor)। তাঁরা দু’ জনেই শুক্রবার মনোনয়ন জমা দেবেন বলে জানা গিয়েছে। পবন বনসল মনোনয়ন পেশের ফর্ম তুললেও তাঁকে যোগ্য বলে মনে করছেন না অনেকেই। সভাপতি নাটকে শেষ অঙ্কের কাছাকাছি এসে দেখা গেল এক নতুন মোড়ও। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে (Priyanka Gandhi) সভাপতি করার দাবি তুলে বসলেন অসমের কংগ্রেস সাংসদ আবদুল খালেক। তাঁর দাবি, যেহেতু রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সভাপতি হতে চাইছেন না, তাই প্রিয়াঙ্কাই যোগ্যতম। তিনি বঢরা পরিবারের সদস্য। গান্ধীও নন।