shono
Advertisement

পাণ্ডবদের জতুগৃহ খননে অনুমতি এএসআইয়ের

মহাভারতের ফেলে আসা অধ্যায়কে ফিরে দেখার চেষ্টা... The post পাণ্ডবদের জতুগৃহ খননে অনুমতি এএসআইয়ের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 02:44 PM Nov 03, 2017Updated: 09:14 AM Nov 03, 2017

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুন্তী-সহ পঞ্চপাণ্ডবকে পুড়িয়ে মারতে পুরোচনকে দিয়ে জতুগৃহ বানান দুর্যোধন। তবে বিদূরের বুদ্ধিমত্তা এবং ভীমের বলের জোরে সুড়ঙ্গ দিয়ে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। শেষমেশ প্রাণে বাঁচেন। এবার বারণাবতের সেই জতুগৃহই খনন করার অনুমতি দিল ভারতের পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ (এএসআই)।

Advertisement

মহাকাব্য ‘লার্জার দ্যান লাইফ’। শুধু পুরাণ নয়, ইতিহাস ও দেশীয় সংস্কৃতির পরত ছুঁয়ে যায় সাহিত্যের এই শাখা। সে অর্থে সব দিক থেকেই ‘বিশালতা’র সমার্থক মহাকাব্য। বিশ্লেষণের নিরিখে আরও বড় সেখানকার চরিত্রগুলি। তাঁদের ছুঁতে পারা যায় না ঠিকই। তবে সহস্রাব্দ প্রাচীন সেই জনপদগুলিতে পা রাখা যায়। স্পর্শ করা যায় মহাকাব্যের বিস্তৃত আকাশ। ফিরে দেখা যায় ইতিহাসের ধুলো পড়া হলুদ পাতা। গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় তৎকালীন সভ্যতা ও সমাজব্যবস্থার পুঙ্খানুপুঙ্খ। তাই উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলার বারনওয়া খনন করার দাবিতে বহু বছর ধরেই আবেদন জানিয়ে এসেছেন পুরাতত্ত্ববিদ ও স্থানীয় ইতিহাসবিদরা। তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস, ওখানেই রয়েছে দুর্যোধনের আদেশে বানানো জতুগৃহটি। মহাভারতে যে অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। অবশেষে তা খনন করার অনুমতি মিলল ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের থেকে।

[নির্ভয়ার ভাই এখন পাইলট, রাহুল গান্ধীকে ধন্যবাদ জানাল পরিবার]

বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলার বারনওয়াতে রয়েছে এই অঞ্চলটি। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে মহাভারতে উল্লিখিত ‘বারণাবৎ’-এর অপভ্রংশ শব্দ বারনওয়া। মহাকাব্য অনুসারে বনবাস পর্বে কৌরবদের কাছ থেকে চাওয়া পাঁচটি গ্রামের একটি হল বারণাবৎ। এএসআই-এর খনন বিভাগীয় প্রধান জিতেন্দর নাথ বলেন, দীর্ঘ ভাবনাচিন্তার পর তাঁরা বারনাওয়া খনন করার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। এএসআই-এরই দুই প্রাধিকারিক- লাল কেল্লার ইনস্টিটিউট অফ আর্কিওলজি ও এএসআইয়ের খনন বিষয়ক বিভাগ এই খোঁড়ার কাজ শুরু করবে। ইনস্টিটিউট অফ আর্কিওলজির পড়ুয়ারাও তাতে অংশগ্রহণ করবে।

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে খননকার্য শুরু হবে। চলবে আগামী তিন মাস। খননকার্য শুরু হলে অবশ্য জায়গাটি পযর্টকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে কিছু জানায়নি পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ। জায়গাটির ধর্মীয় তাৎপর্য সম্বন্ধে এখনই কিছু জানাননি পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের প্রধান ড. এস কে মঞ্জুল। তবে তিনি বলেন, চন্দয়ন ও সিনাউলির মতো স্থানের মতোই বারণাবতও ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

সিনাউলিতে ২০০৫ সালে খননকার্য চালানো হয়। হরপ্পা সভ্যতার মানুষদের সমাধিস্তূপ পাওয়া যায় সেখান থেকে। পাওয়া যায় অসংখ্য কঙ্কাল ও মৃতশিল্পের নিদর্শনও। চন্দয়ন থেকে মেলে একটি তামার শিরোতাজ ও জপের মালা জাতীয় লাল রঙের অলঙ্কার। সেই কারণেই বারানওয়া খননে সবুজ সংকেত দেয় এএসআই।

[লাদাখে বিশ্বের উচ্চতম গাড়ি চলাচলের যোগ্য রাস্তা বানাল BRO]

The post পাণ্ডবদের জতুগৃহ খননে অনুমতি এএসআইয়ের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার