সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহম্মদ সিরাজের দাপটে শ্রীলঙ্কাকে ৫০ রানে অলআউট করে এশিয়া কাপ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। আর রেকর্ড গড়ে অষ্ঠম বার ট্রফি জিতেই সবার মন জিতলেন রোহিত শর্মা ও তাঁর সতীর্থরা। কারণ বিরাট কোহলি-শুভমান গিলদের সঙ্গে একই মঞ্চে ট্রফি হাতে উপস্থিত ছিলেন দলের থ্রোডাউন বিশেষজ্ঞ (Throwdown Expert) রাঘবেন্দ্র (Raghavendraa) ওরফে রঘু (Raghu)।
রঘুর ভারতীয় দলে পা রাখা ২০১১ সালের বিশ্বকাপের আগে। তাঁর ভূমিকাই হচ্ছে থ্রোডাউন অনুশীলন করানো। ২০১৪ সালে ভারতীয় দলের সঙ্গে ইংল্যান্ড সফরে যান রঘু। তারপর থেকে রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri) ও রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) দলের অঙ্গ। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রঘুকে দেখে মোহিত হয়েছিলেন শচীন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) ও দ্রাবিড়। তাঁদের সুপারিশেই রঘুর ভারতীয় দলের সঙ্গে কাজ করার স্বপ্নপূরণ হয়। ম্যাচে নামার আগে শচীন নেটে অনুশীলন করার বদলে রঘুর কাছ থেকে থ্রোডাউন নিতে ভালোবাসতেন।
[আরও পড়ুন: কাপ যুদ্ধের নামার আগে চোট-আঘাত নিয়ে চিন্তিত রোহিত, ঘটালেন মহা বিস্ফোরণ]
দলে তাঁর গ্রহণযোগ্য়তা প্রশ্নাতীত। ২০১৮ সালে রঘুর ছবি টুইট করে হরভজন সিং লিখেছিলেন যে, জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ, সব কাজই হাসি মুখে করে দেন রঘু। কিংবদন্তি স্পিনার শুভেচ্ছাও জানিয়ে ছিলেন রঘুকে।
এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-শ্রীলঙ্কা। আগুনে বোলিং করেছিলেন সিরাজ। তাঁর বোলিং ফিগার ছিল ৭-১-২১-৬। এরমধ্যে এক ওভারেই তুলে নিয়েছিলেন চার উইকেট। সিরাজের নিঁখুত লাইন-লেন্থ ও সুইংয়ের মিশেলে হামাগুড়ি দিয়েছে শ্রীলঙ্কার টপ থেকে মিডল অর্ডার। পাথুম নিশঙ্কা (২), সাদিরা সামারাউইকরামা (০), চরিথ আশালঙ্কা (০), ধনঞ্জয় ডি সিলভা (৪) ও দাসুন শনাকারা (০) সিরাজের শিকার হন।
সিরাজের ছয় উইকেটের দাপটে বিপক্ষের ইনিংস ৫০ রানে শেষ হয়ে যায়। পুরো ১৬ ওভারও খেলতে পারেনি গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল। ঈশান কিষান (২৩) ও শুভমান গিল (২৭) অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ফলে ১০ উইকেটে জিতে এশিয়ার সেরা হয় ভারত।