ভারত ১১৬/৭ (স্মৃতি ৪৬, জেমাইমা ৪২)
শ্রীলঙ্কা ৯৭/৮ (হাসিনি ২৫, তিতাস ৩/৬, রাজেশ্বরী ২/২০)
১৯ রানে জয়ী ভারত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এশিয়া কাপ থেকে এশিয়ান গেমস-মহিলাদের ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের দাপট অব্যাহত। প্রথমবার এশিয়ান গেমস (Asian Games) খেলতে নেমেই বাজিমাত উইমেন ইন ব্লুর (India Women’s Cricket Team)। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সোনা জিতলেন হরমনপ্রীত কৌররা। জেমাইমা রডরিগেজ ও স্মৃতি মান্ধানার লড়াকু ব্যাটিংয়ের পর তিতাস সাধুর আগুনে বোলিং-দলগত পারফরম্যান্স করেই সোনালি পদক ছিনিয়ে নিল ভারত। ফাইনাল ম্যাচে বেশ কয়েকবার চাপে পড়লেও দারুণভাবে ফিরে এসে ম্যাচ পকেটে পুরেছেন সোনার মেয়েরা। কমনওয়েলথ গেমসে রুপোর পর ফের নতুন পালক ভারতের মহিলা ক্রিকেটের মুকুটে।
এশিয়ান গেমসের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে এসেছে ভারতের মহিলা ব্রিগেড। মালয়েশিয়ার পর বাংলাদেশ- দুই প্রতিপক্ষকেই উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন স্মৃতি মান্ধানারা। তবে সোনা জয়ের লড়াইয়ে জোর টক্করের মুখে পড়তে হয় দলকে। লঙ্কা বোলারদের ঘূর্ণির জালে একেবারে বেসামাল হয়ে পড়েন ভারতীয় ব্যাটাররা। তবে ভারতকে ম্যাচে ফেরান বঙ্গকন্যা তিতাস সাধু। এক ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে দলের মধ্যে বিশ্বাস ছড়িয়ে দেন। সেখান থেকেই আটাপাট্টুদের উপর চাপ তৈরি করতে থাকেন ভারতের বোলাররা। ৪০ ওভার টানটান লড়াইয়ের পর শেষ হাসি ভারতের মুখেই।
[আরও পড়ুন: সামনেই বিশ্বকাপ, শুভমান-শার্দূলকে বিশ্রাম দিল টিম ম্যানেজমেন্ট]
সোনার লড়াইয়ে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তবে সেই সিদ্ধান্ত সেভাবে কাজে আসেনি। শুধু স্মৃতি মান্ধানা ও জেমাইমা রডরিগেজ ছাড়া আর কোনও ব্যাটারই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। অধিনায়ক হরমনপ্রীত থেকে শুরু করে ওপেনার শেফালি- শ্রীলঙ্কা স্পিনারদের সামনে বিপাকে পড়েন সকলেই। ২০ ওভারের শেষে মাত্র ১১৬ রান তোলে ভারত।
জবাবে বেশ মারকুটে মেজাজেই ইনিংস শুরু করেন দুই লঙ্কা ওপেনার। তার পর আসরে নামেন বাংলার পেসার তিতাস সাধু। অধিনায়ক আটাপাট্টুর উইকেট তুলে নিয়ে প্রথম ধাক্কা দেন তিনি। বঙ্গকন্যার হাত ধরেই ম্যাচে ফেরে ভারত। এক ওভারে দুই উইকেট-সহ তিন উইকেট তুলে নেন তিতাস। রান আটকানোর পাশাপাশি উইকেট তুলে নেন ভারতের সব বোলারই। চাপের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয় পেল ভারত। সোমবার ভারতীয় সময় ভোরবেলা সোনা এসেছিল শুটিংয়ের হাত ধরে। পড়ন্ত বিকেলে সোনালি পদক নিয়ে এলেন ভারতের সোনার মেয়েরাও।