সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১১ সালের আগস্ট মাসে ওয়েলসের ফিফা ব়্যাঙ্কিং ছিল ১১৭ । ২০১৫ সালের অক্টোবরে ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে গ্যারেথ বেলরা উঠে আসেন অষ্টম স্থানে। ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে আইসল্যান্ডের ফিফা ব়্যাঙ্কিং ছিল ১৩১। এবছর বিশ্বকাপে তাঁরা প্রথম ম্যাচেই আটকে দিয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। এই ছোট ছোট দেশগুলি দেখিয়েছে চেষ্টা করলে ফুটবলে এগিয়ে যেতে পারে যে কোনও দল। কিন্তু, এরা পারলে ভারত কেন পারবে না? দুর্ভাগ্য আমাদের, দেশের কর্তাস্থানীয় ব্যক্তিরা বোধ হয় সমর্থকদের মতো অত উৎসাহী নন। নাহলে ফুটবলের প্রতি এদেশের অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা যে উদাসীনতা দেখালেন তা হয়তো অন্য কোনও দেশে ভাবাই যেত না।
[নতুন স্পনসরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল ইস্টবেঙ্গল, বদলে যাচ্ছে ক্লাবের নামও]
আইসল্যান্ডে বছরে ৬ মাস বরফ পড়ে, এই সময় ফুটবল অনুশীলনে অসুবিধা হয়, সেজন্য ফুটবলারদের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে ইনডোর স্টেডিয়াম তৈরি করে দিয়েছে ফেডারেশন। অথচ এ পোড়া দেশে পদক জয়ের সম্ভাবনা নেই, এই অজুহাত দিয়ে এশিয়ান গেমসে ফুটবল দলই পাঠালো না ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। বিশ্বকাপের সুযোগ পেয়েও না খেলার সিদ্ধান্ত যদি ঐতিহাসিক ভুল হয় তাহলে এই সিদ্ধান্তকেও নিতান্ত কম বলা যায় না। বৃহস্পতিবার হয়ে গেল এশিয়ান গেমস ফুটবলের চূড়ান্ত গ্রুপ-বিন্যাস। ৬ টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে ২৪ টি দলকে। তালিকায় জ্বলজ্বল করছে পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, নেপাল লাওস, হংকং, চাইনিজ তাইপের। অথচ নাম নেই ভারতের।
আপাতত ফিফা ক্রমতালিকায় ৯৭ তম স্থানে ভারত। এশিয়ার মধ্যে সুনীল ছেত্রীরা রয়েছেন ১৪ তম স্থানে। ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, সুনীল ছেত্রীদের নাকি পদক জয়ের কোনও সম্ভাবনাই নেই। গত ২ বছর ১৭৩ থেকে ৯৭-এ উঠে আসা দলটি সম্পর্কে কর্তারা এত আগে থেকে যেভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করছেন, তাতে হয়তো অক্টোপাস ‘পল’-ও লজ্জা পাবে। ভারত দল পাঠায়নি অথচ এশিয়ান গেমসে দল পাঠাচ্ছেন পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, নেপাল লাওস, হংকং, চাইনিজ তাইপের মতো দল। যে দলগুলিকে এই মুহূর্তে বলে বলে হারানোর ক্ষমতা রাখে ভারত। ভারতের যদি সম্ভাবনা না থাকে তাহলে এই দলগুলি কী করে পদক জিতবে? ভাবুন তো সবাই যদি আইওএ-র কর্তাদের মতো ভাবতেন তাহলে হয়তো এশিয়ান গেমসে খেলার মতো ১৬টি দলই জোটাতে পারত না কর্তৃপক্ষ। ছোটোবেলাতেই বাচ্চাদের শেখানো হয়, পারো ছাই না পারো, অংশগ্রহণ করাটাই বড় কথা। এই আদ্যিকালের নীতিবাক্য হয়তো ভুলেই বসেছেন ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাব্যক্তিরা। অনেকে বলছেন পদক জয়ের সম্ভাবনা নেই বলে কর্তারা যে দাবি করছেন তা নেহাতই অজুহাত, আসলে টাকা বাঁচানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত আইওএ-র।
The post কর্তার ইচ্ছেয় কর্ম, পাকিস্তান-নেপাল এশিয়ানে খেললেও সুযোগ নেই ছেত্রীদের appeared first on Sangbad Pratidin.