সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্যটন স্থান হোক কিংবা অফিস–আদালত–হাসপাতাল, ভারতের সমস্ত জায়গাতেই আর কিছু থাকুক বা না থাকুক চায়ের দোকান থাকবেই। কিছু বৈধ তো, কিছু কিছু আবার অবৈধ। আর ওই অবৈধ দোকান সরাতে মাঝেমধ্যেই অভিযান চালান পুলিশ অথবা প্রশাসনের আধিকারিকরা। সেই কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় ঝামেলাও বাঁধে। ঘটে যায় গুরুতর দুর্ঘটনাও।
এমনই একটি ভয়াবহ ঘটনা এবার ঘটল বিহারে (Bihar)। হাসপাতালের সামনে থাকা অবৈধ চায়ের দোকান সরাতে বলেছিলেন এক পুলিশ আধিকারিক। আর সেজন্য তাঁর মুখে ফুটন্ত চা ছুঁড়ে মারলেন ওই দোকানেরই এক মহিলা। ঘটনায় গুরুতর আহত ওই পুলিশ আধিকারিক বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ফের অস্বস্তিতে অর্ণব! বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে মোটা অঙ্কের জরিমানার মুখে ‘রিপাবলিক ভারত’]
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি বিহারের মুজাফ্ফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের (Sri Krishna Medical College and Hospital) সামনে ঘটেছে। হাসপাতালের পূর্বদিকের গেটের সামনে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ চা এবং খাবারের দোকান চলছে। এর ফলে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে রোগী থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই অভিযোগ পেয়েই সেই অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করতে যান স্থানীয় আউটপোস্ট ইন–চার্জ সুমন ঝা। কিন্তু সরিতা দেবী নামে চায়ের দোকানের ওই মহিলাকে দোকান তুলতে বলতেই ঝামেলা শুরু হয়। দু’পক্ষের তর্কাতর্কির মাঝে আচমকাই ফুটন্ত চা সরিতা দেবী ওই পুলিশ আধিকারিকের মুখে ছুঁড়ে মারেন। ঘটনায় হতবাক হয়ে যান অনেকেই।
এরপরই তড়িঘড়ি ওই হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় সুমন ঝাকে। এরপর তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হলে ঝাকে পাটনা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। ক্যাম্পাস থেকে ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তবে ঘটনায় আরও দু’জন জড়িত ছিল। আপাতত তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এমনটাই জানিয়েছেন আধিকারিকরা।