সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল অসমের (Assam) লেখিকা শিখা শর্মাকে। সম্প্রতি মাওবাদী (Maoist) হামলায় শহিদ জওয়ানদের (Jawan) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হবে ৪৮ বছরের লেখিকাকে।
ঠিক কী লিখেছিলেন তিনি? ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলায় জওয়ানদের মৃত্যুর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় করা একটি পোস্টে তিনি হামলায় নিহত জওয়ানদের ‘শহিদ’ বলায় আপত্তি তোলেন। সোমবার ফেসবুকে (Facebook) করা পোস্টে তিনি লেখেন, ”বেতনভুক চাকরীজীবীরা কাজ করতে করতে মারা গেলে তাঁদের শহিদ বলা হয় না। সেই যুক্তিতে কোনও বিদ্যুৎকর্মী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেলে তাঁকেও শহিদ বলা উচিত। মানুষকে আবেগপ্রবণ করে তুলো না মিডিয়া।”
[আরও পড়ুন: কেন দেশের প্রত্যেককে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না? ব্যাখ্যা দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক]
ফেসবুকে ওই পোস্ট করার পরই শুরু হয় বিতর্ক। সোমবারই গুয়াহাটি হাই কোর্টের দুই আইনজীবী উমি ডেকা বড়ুয়া ও কঙ্কনা গোস্বামী দিসপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগ, এমন কুরুচিকর মন্তব্যে জওয়ানদের বলিদানকে খর্ব করা হচ্ছে। অভিযুক্তের যেন কড়া শাস্তি হয়। এফআইআর দায়ের হওয়ার পরেই মঙ্গলবার শিখাকে গ্রেপ্তার করে দিসপুর পুলিশ। প্রসঙ্গত, ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’য় কর্মরত শিখা এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকার-বিরোধী মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে ধর্ষণের হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছিল। তা নিয়ে মামলা দায়ের হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ করেছিলেন শিখা।
সোমবারও তাঁর পোস্ট ঘিরে বিতর্ক শুরু হলে তিনি ফেসবুকে আরেকটি পোস্ট করে লেখেন, ”আমার পোস্টকে ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়ানো হলে সেটা কি মানসিক লাঞ্ছনা নয়? আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে, তা কি আইনের আওতায় আসে না? এর আগে যখন আমাকে খুন ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল, তখন এফআইআর দায়ের করা সত্ত্বেও কেন কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ?”