সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্য বিজেপির। একমাত্র তেলেঙ্গানায় জিতে মুখরক্ষা করেছে কংগ্রেস। এমন পরিস্থিতিতে কার্যত চাপা পড়ে গিয়েছে মিজোরাম (Mizoram)। সোমবার সেরাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। তবে জাতীয় রাজনীতিতে এই ফলাফলের আদৌ কোনও প্রভাব পড়বে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মনে। তবে অনেকের অনুমান, মণিপুরের জাতি হিংসার জেরে বিজেপি বিরোধী মানসিকতা তৈরি হয়েছে আমজনতার। সেই হাওয়াকে কাজে লাগাতে চাইবে কংগ্রেস।
২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের (Congress) সরকারকে হঠিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল মিজ়ো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ)। ওই ভোটে এমএনএফ জিতেছিল ২৭টি আসনে। মিজোরামের শাসকদল এমএনএফ ২০১৬ সাল থেকেই বিজেপি (BJP) নেতৃত্বাধীন জোট ‘নর্থ ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’ (নেডা)-র সদস্য। তবে মণিপুরের সাম্প্রতিক হিংসার জেরে বিজেপির বিরুদ্ধে খানিকটা অসন্তোষ রয়েছে দলে। মণিপুর হিংসায় বিজেপির ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তারা। মণিপুর ছেড়ে পালিয়ে আসা সাধারণ মানুষের পাশেও দাঁড়িয়েছে তারা।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় পেশের আগেই মহুয়া নিয়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে! ক্ষুব্ধ তৃণমূল]
এমএনএফের প্রচারের অন্যতম প্রধান হাতিয়ারই ছিল মণিপুরের হিংসা। তবে রাজ্যের বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, তাদের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে রাজ্যের নতুন দল জোরাম পিপলস মুভমেন্ট (জেডপিএম)। কয়েকদিন আগেই পুরসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে তারা। বিজেপির ‘শরিক’ এমএনএফের বিরুদ্ধে লড়ে সরকার গড়ার লক্ষ্য তাদের। বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, রাজ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান পেতে পারে কংগ্রেস ও বিজেপি।
জাতীয় রাজনীতিতে সেভাবে প্রাসঙ্গিক না হলেও মিজোরামের ফলাফলের দিকে চোখ রাখবে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ সরকার গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে হাত শিবিরের ভূমিকা। বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি হবে মিজোরামে। সেক্ষেত্রে জেডপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়তে পারে কংগ্রেস। অন্যদিকে, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো নির্বাচন লড়ে মূলত স্থানীয় সমস্যাকে মাথায় রেখেই। ফলে বিধানসভা নির্বাচন মিটতেই ফের বিজেপির সঙ্গে সখ্যতা বাড়াতে পারে এমএনএফ, এমন সম্ভাবনাই প্রবল।