সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা, অর্থনীতি, কৃষক অসন্তোষ (Farmers Protest), লখিমপুর। বিরোধীদের হাতে হাজারো ইস্যু থাকা সত্ত্বেও বিজেপির জনপ্রিয়তায় আঁচ আসেনি। অন্তত এবিপি-সি-ভোটার সমীক্ষায় এমনটাই ইঙ্গিত মিলছে। আগামী বছর দেশের যে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা তার মধ্যে অন্তত তিনটিতে ক্ষমতায় ফিরতে পারে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে কংগ্রেসকে (Congress) ফিরতে হতে পারে শূন্য হাতে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ওই সমীক্ষায়।
২৪-এর লোকসভার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন উত্তরপ্রদেশে। লোকসভার সেমিফাইনালে বিজেপিই শেষ হাসি হাসবে বলে দাবি করা হয়েছে এবিপি-সি ভোটারের (ABP C-Voter) সমীক্ষায়। সমীক্ষা বলছে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ২৪১ থেকে ২৪৯টি আসন পেতে পারে। যা আগের বারের থেকে অনেকটা কম হলেও ম্যাজিক ফিগারের থেকে অনেকটাই বেশি। যোগীরাজ্যে প্রায় ৪১ শতাংশ ভোট পেতে পারে বিজেপি। উত্তপ্রদেশে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে আসছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party)। তারা পেতে পারে ১৩০ থেকে ১৩৮টি আসন। মায়াবতীর বিএসপি (BSP) এবং কংগ্রেসের অবস্থা দুর্বিষহ। বিএসপি পেতে পারে ১৫ থেকে ১৯টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে মাত্র ৩ থেকে ৭টি আসন।
[আরও পড়ুন: পালিয়েও পুলিশের নজর এড়ানো গেল না, ক্রাইম ব্রাঞ্চে হাজির লখিমপুর কাণ্ডে অভিযুক্ত আশিস]
উত্তরাখণ্ড এবং গোয়াতেও (Goa) সহজেই ক্ষমতায় ফিরতে পারে বিজেপি। উত্তরখণ্ডে ৭০ আসনের মধ্যে ৪২ থেকে ৪৫টি পেতে পারে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস পেতে পারে ২১ থেকে ২৫টি আসন। আম আদমি পার্টি পেতে পারে ০ থেকে ৪টি আসন। গোয়াতেও সহজেই ক্ষমতায় ফিরতে পারে বিজেপি। ৪০ আসন বিশিষ্ট গোয়া বিধানসভায় ২৪-২৮টি আসন পেতে পারে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস পেতে পারে ১ থেকে ৫টি আসন। ৩ থেকে ৭টি আসন পেতে পারে আম আদমি পার্টি। তৃণমূল-সহ অন্যান্যরা পেতে পারে ৪ থেকে ৮টি আসন।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরার পুরভোটে লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস, নবগঠিত কমিটির বৈঠকে ইঙ্গিত অভিষেকের]
কংগ্রেসের একমাত্র আশার জায়গা পাঞ্জাবেও (Punjab) হতাশ হতে হচ্ছে হাত শিবিরকে। সেখানেও বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে আসতে পারে আম আদমি পার্টি। ১১৭ আসনের পাঞ্জাব বিধানসভায় আপ পেতে পারে ৪৯-৫৫টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ৩০-৪৭ টি আসন। অকালি দল পেতে পারে ১৭-২৫টি আসন। বিজেপির দখলে যেতে পারে ০-১টি আসন। আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য মণিপুরে অবশ্য খানিকটা ধাক্কা খেতে পারে গেরুয়া শিবির। ৬০ আসনের মণিপুর (Manipur) বিধানসভায় বিজেপি পেতে পারে ২১-১৫টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ১৮-২৫টি আসন। এনপিএফ পেতে পারে ৪-৮টি আসন। অন্যান্যরা পেতে পারে ১-৫টি আসন।