সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ডেঙ্গুর (Dengue) বলি খোদ প্রশাসনিক কর্তা। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের সহকারী সুপার অনির্বাণ হাজরার। এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যবাসীর আতঙ্ক বাড়িয়েছে কয়েকগুন।
গত কিছুদিন ধরেই রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। প্রতিদিন বহু মানুষের শরীরে থাবা বসাচ্ছে এই রোগ। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের সহকারী সুপার অনির্বাণ হাজরা। তাঁর বয়স ৪২ বছর। একাধিক উপসর্গ থাকায় তাঁর ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট আসে পজিটিভ। এরপরই গত ১ নভেম্বর বেলেঘাটা হাসপাতালেই ভরতি করা হয় অনির্বাণ হাজরাকে। সেখানেই চলছিল চিকিৎসা। বৃহস্পতিবার অনির্বাণবাবুর অবস্থার অবনতি হয়। প্লেটলেট নেমে যায় ১৬ হাজারে। যদিও তারপর স্থিতিশীল হয়েছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: শীতের শিরশিরানির মাঝেই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, উপকূলীয় জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা]
শুক্রবার সকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন অনির্বাণ হাজরা। জানা গিয়েছে, তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ডেঙ্গু। এই মৃত্যর ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যবাসীর দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩৯৬ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের নিরিখে প্রথমে উত্তর ২৪ পরগনা, দ্বিতীয় স্থানে মুর্শিদাবাদ ও তৃতীয়ে কলকাতা।
প্রসঙ্গত, ডেঙ্গুর এই দাপট ও বেলেঘাটা হাসপাতালের সহকারী সুপারের মৃত্যু নিয়ে রাজ্যকে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। এদিন তিনি বলেন, “পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের কোনও উদ্যোগ নেই। যা পদক্ষেপ করার ছিল রাজ্য তা করা করেনি। কোনও সচেতনতার প্রচার হচ্ছে না। শুধু উৎসব চলছে পাড়ায় পাড়ায়। আর সরকারি হাসপাতালেও ব্যবস্থা নেই।” এ বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সরকারের বিরোধিতা করতে অনেক কথা বলাই যায়। কিন্তু সকলকে সচেতন হতে হবে। একসঙ্গে ডেঙ্গুকে প্রতিরোধ করতে হবে।”