সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর আসে বছর যায়। ২০২৩ শেষ হয়ে ২০২৪-কে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ব। আসলে নানা প্রান্তে নানা দেশে একে একে নতুন বছর পদার্পণ করে। কিন্তু মহাশূন্যে থাকা নভোচররা প্রস্তুত একে একে ১৬ বার নতুন বছরকে স্বাগাত জানাতে! ব্যাপারটা কী?
আসলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন তথা আইএসএসে (ISS) যে নভোচররা রয়েছেন, তাঁরা গতিময় স্টেশনের ভিতরে থেকে ১৬টি সূর্যোদয় দেখেন ২৪ ঘণ্টায়। কেননা স্টেশনটি সব সময় উচ্চগতিতে ভেসে চলেছে। প্রদক্ষিণ করছে পৃথিবীকে। গতি ২৮ হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। প্রতি ৯০ মিনিটে সেটি একবার করে পৃথিবীকে চক্কর কাটে। আর এই দ্রুতগতির কারণেই নভোচরদের সামনে সুযোগ থাকে একদিনেই পর পর সূর্যোদয় দেখার! ফলে নতুন বছরকেও তাঁরা বারংবার পুরনো বছরের হাত থেকে ব্যাটন নিয়ে নিতে দেখবেন।
[আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে শুরু হতে পারে হৃদরোগের মহামারী! আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার JN.1 উপরূপ]
কিন্তু এটা পৃথিবীতে বসে থাকা সাধারণ মানুষদের কাছে যতই আশ্চর্যজনক মনে হোক, নভোচরদের কাছে এসব নিতান্তই ‘নস্যি’। তাঁরা প্রতিটা দিন এমন দৃশ্য দেখে অভ্যস্ত। তাঁরা প্রতি ৪৫ মিনিট অন্তর দিন ও রাতের বদল দেখেন। সেই হিসেবে পৃথিবীর একদিনের নিরিখে তাঁরা ১৬ বার সূর্যোদয় ও ১৬ বার সূর্যাস্ত দেখেন। ঘন ঘন দিন-রাতের এই পালাবদলের সাক্ষী থাকা মহাকাশ স্টেশনে থাকা নভোচরদের (Astronauts) কাছে ‘আশীর্বাদ’। কেননা এর ফলে মাইক্রোবায়োলজি ও ধাতুবিদ্যার নানা ক্ষেত্রের পরীক্ষা করতে পারেন তাঁরা। কেবল তাই নয়। এই রহস্যময় ব্রহ্মাণ্ডকে বুঝে ওঠার নিরন্তর যে প্রক্রিয়ার সঙ্গে তাঁরা যুক্ত, সেখানেও নতুন নতুন মাইলফলক পেরনোর সুযোগ মেলে সংক্ষিপ্ত দিন ও রাতের বারংবার পালাবদলের ফলে।