সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার ভারতে আসছেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার। শেষ পাওয়া খবরের মতে, ইতিমধ্যে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন দুই শীর্ষ মার্কিন আমলা। এদিন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রতিনিধিরা। সেখানেই দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হতে পারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ‘BECA’ প্রতিরক্ষা চুক্তি।
[আরও পড়ুন: ফ্রান্সের স্কুলে মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র, ফরাসি খাবার বয়কট আরব সংস্থাগুলির]
ভারত-আমেরিকা হাই-প্রোফাইল ২+২ বৈঠকের তৃতীয় অধ্যায়ে পম্পেও, এসপারের এই সফরের দিকে নজর রাখছে চিন, রাশিয়া, পাকিস্তান-সহ একাধিক দেশ। লাদাখে লালফৌজের আগ্রাসনের মুখে ভারতের পাশে আমেরিকার অবস্থান নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন বেজিং ও পাকিস্তান। পাশাপাশি, বহুকলের বন্ধু ভারতের উপর মার্কিন প্রভাবে সিঁদুরে মেঘ দেখছে মস্কো। বলে রাখা ভাল, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এনিয়ে ভারতে চারবার সফর করলেন কোনও মার্কিন বিদেশসচিব। একটি বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশদপ্তর বলেছে, “আমাদের জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি মেনে, বিশ্বে নয়া শক্তি হিসেবে ভারতের উথ্থানকে আমরা স্বাগত জানাই। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে কাজ করবে আমেরিকা।”
এদিকে, এদিনের বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল Basic Exchange and Cooperation Agreement for Geo-Spatial Cooperation (BECA) প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা। এটি স্বাক্ষরিত হলে, ভারতীয় ও মার্কিন ফৌজের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদান আরও মজবুত হবে। ভারতের জন্য যেটা সবচেয়ে জরুরি তা হল, চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে মার্কিন মিলিটারি স্যাটেলাইট থেকে লাইভ ছবি পাবে ভারতীয় সেনা। লাদাখে সংঘর্ষের আবহে চিনা ফৌজের গতিবিধির উপর নজর রাখতে এটা অত্যন্ত প্রভাবশালী পদ্ধতি হবে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে QUAD মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে মিলিত হয় ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা। এই দেশগুলি মিলে তৈরি হয়েছে এই গোষ্ঠী। এই বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল দক্ষিণ চিন সাগরে চিনা আগ্রাসন। এশিয়ায় চিনের সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে প্রশমিত করতে চায় আমেরিকা। এদিকে ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্কও খুব ভাল পরিস্থিতিতে নেই। গত মে মাস থেকে লাদাখে সীমান্তের উত্তেজনায় আরও অবনতি হয়েছে সেই সম্পর্কে। এই পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে লড়তে ভারতকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে চায় আমেরিকা। দু’দেশের সম্পর্কও খুব ভাল জায়গায় রয়েছে।