সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আলাদা দল গড়ে বিহার নির্বাচনে লড়লেও শূন্য পেয়েছেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব। তবে বিহার নির্বাচনে শূন্য পেলেও তেজ কমেনি ত্যাজ্যপুত্র তেজপ্রতাপের। নব উদ্যমে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিলেন তিনি। ঘোষণা করলেন, এবার ২০২৬-এর পশ্চিমবঙ্গ ও ২০২৭-এর উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনেও প্রার্থী দেবে তাঁর জনশক্তি জনতা দল (JJD)।
শুক্রবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা স্পষ্ট করেন তেজপ্রতাপ। বলেন, জেজেডি শুধু বিহার নয় দেশের বাকি রাজ্যগুলিতেও নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে চলেছে। যার জন্য বিরাট পরিসরে সদস্য সংগ্রহের কর্মযজ্ঞ শুরু হবে। শুধু তাই নয়, ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ও ২০২৭ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনেও প্রার্থী দেবে তাঁর দল।
উল্লেখ্য, পারিবারিক সংঘাতের জেরে তেজপ্রতাপকে ত্যাজ্যপুত্র করেছেন তাঁর বাবা লালুপ্রসাদ। এই ঘটনার পর বিহার নির্বাচনের অল্প কিছুদিন আগে নতুন দল গঠন করেন তিনি। বিহারের একাধিক আসনে প্রার্থী দিলেও একটিও আসন পায়নি তাঁর দল। বৈশালী আসনে প্রার্থী হয়ে গোহারা হারেন তেজপ্রতাপ। চমকপ্রদভাবে হারের পর নীতীশ সরকারকে নৈতিক সমর্থন দেন তিনি। যার জেরে তেজের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ ওঠে, এই নির্বাচনে তিনি আসলে বিজেপির 'বি-টিম' হয়ে কাজ করেছেন।
এবার বাংলার নির্বাচনে লালুপুত্রের পা রাখার ঘটনাও পুরোপুরি বিজেপির মদতে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দাবি করা হচ্ছে, তেজপ্রতাপের লক্ষ্য বাংলার নির্বাচনে আসন জয় নয়, আসলে এখানে বিজেপির কিছুটা সুবিধা করে দেওয়াই জেজেডি-র উদ্দেশ্য। যেমনভাবে বিহারে বিরোধীদের সম্ভাব্য জয়ের আসনে প্রার্থী দিয়ে ভোট কাটাকাটির অঙ্কে বিজেপির সুবিধা করে দিয়েছিলেন তেজপ্রতাপ। ঠিক তেমনই অঙ্ক বাংলায় কষতে চাইছেন তিনি। যদিও 'অজ্ঞাত' জেজেডি বাংলায় পা রেখে বিজেপিকে বিশেষ সুবিধা দিতে পারবে বলে মনে করছে না ওয়াকিবহাল মহল।
