সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শান্তি আলোচনার মধ্যে ফের তালিবানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু সরকারি বাহিনীর। এবার আফগানিস্তানের (Afghanistan) কান্দাহার প্রদেশে অন্তত ১৮ জন তালিবান (Taliban) জঙ্গিকে নিকেশ করেছে সেনাবাহিনী।
[আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত শ্রীলঙ্কা, রাষ্ট্রসংঘে ভোটাভুটির আগে ভারতের ‘সাহায্যপ্রার্থী’ কলম্বো]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, কান্দাহারের আরঘনাডাব ও ঝেরি এলাকায় ‘স্পেশ্যাল অপারেশন’ চালায় আফগান ফৌজ ও আধা সামরিক বাহিনীর যৌথদল। জঙ্গিদের সঙ্গে ভয়াবহ গুলির লড়াইয়ে এপর্যন্ত খতম হয়েছে অন্তত আঠারো জন তালিবান সন্ত্রাসবাদী। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। এই সংঘর্ষে এখনও কোনও নিরাপত্তারক্ষীর হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, গত শনিবার থেকেই শুরু হয়েছে অভিযান। আরও বেশ কয়েকদিন এই অপারেশন চলবে। উল্লেখ্য, কাতারের রাজধানী দোহায় আফগান সরকার ও তালিবানের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটিতে শান্তি ফেরানোর প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও রফাসূত্র বের করা সম্ভব হয়নি। দু’টি বিষয়ে কিছুতেই তাদের মতের মিল না হওয়ায় থমকে গিয়েছে গোটা শান্তি আলোচনা। যে দুই বিষয়ে এই জট তৈরি হয়েছে তার প্রথমটি হচ্ছে, আমেরিকা ও তালিবানের মধ্যে হওয়া শান্তিচুক্তিকে ভিত্তি হিসেবে পরিচিতি দিয়ে বর্তমান আলোচনা চালাতে হবে আফগান সরকারকে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, আলোচনার নীতি নির্ধারণ করতে হবে হানাফি (ইসলামের একটি শাখা) রীতি মেনে। আর এই দু’টি দাবি মানতে নারাজ কাবুল।
বিশ্লেষকদের মতে, বিগত কয়েকদিনে সরকারি বাহিনী ও সাধারণ নাগরিকদের উপর বেশ কয়েকটি রক্তক্ষয়ী হামলা চালিয়েছে তালিবান। ফলে ধাক্কা খেয়েছে শান্তি প্রক্রিয়া। আমেরিকার চাপে আলোচনায় বসলেও এবার আফগান সরকার জঙ্গিদের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে। কান্দাহারে অপারেশন সরকারের কড়া জবাবেরই অংশ। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আফগানিস্তানের বালখ প্রদেশের একটি মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। তারপর আফগান সেনাবাহিনীর ২০৯ শাহিন কোরের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানান হয়, ওই মসজিদে বোমা বানানোর কাজ করছিল তালিবান জঙ্গিরা। তখনই কোনও ত্রুটির জন্য বিস্ফোরণ হয়। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় অন্তত তিরিশ জন সন্ত্রাসবাদীর।