সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিক্ষোভে উত্তাল পাক অধিকৃত কাশ্মীর। সেই প্রতিবাদ দমন করতে রীতিমতো মারমুখী পাক পুলিশ ও রেঞ্জার্সরা। চলছে গুলিও। শূন্য গুলি চালানোর পাশাপাশি উন্মত্ত জনতার দিকেও তাক করা হয়েছে বন্দুকের নল। ইতিমধ্যে ২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তবে তাঁরা গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন কি না তা স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে একটি পুলিশ আধিকারিককে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলেও অভিযোগ। তবে পাক প্রশাসনের তরফে মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হয়নি।
অশান্তির সূত্রপাত শুক্রবার। অস্বাভাবিক হারে কর বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি -সহ একাধিক বিষয়ের বিরুদ্ধে পথে নামে অধিকৃত কাশ্মীরের জনতা। এএনআই সূত্রে খবর, পাক সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে শনিবারও বড়সর প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটি। দোকানপাট বন্ধ রাখারও আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু এই মিছিল রুখতে মরিয়া ছিল পাক প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে এবার পরমাণু যুদ্ধ? ইরানের হুঁশিয়ারির পর বাড়ছে আশঙ্কা]
প্রতিবাদ রুখতে বিভিন্ন জায়গায় ইসলামাবাদ মোতায়েন করে পাক রেঞ্জার্স ও পুলিশবাহিনী। শুক্রবারই PoK-এর দাদিয়াল তহসিল ও মিরপুর জেলায় বড় মিছিল বের হয়। সেখান থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হলে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ওই এলাকাগুলোর বিভিন্ন রাস্তায় প্রতিবাদে নামেন বহু মানুষ। তার পরই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করে ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এমনকি সেখানে ১৪৪ ধারাও জারি করে দেওয়া হয়। এর পরেও বিক্ষোভ থামানো যায়নি। অভিযোগ, শূন্য কয়েক রাউন্ড গুলি চলে। এমনকী, বিক্ষোভাকারীদের উপরও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সমাজকর্মী আমজাদ আয়ুব মির্জা জানান, "নিরস্ত্র জনতাকে নিশানা করছে পাক পুলিশ বাহিনী। গুলি চালাচ্ছে। অন্তত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আন্দোলনকারীরা এক পুলিশ কর্মীকে পিটিয়ে মেরেছে।" পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে তারা।