সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোরাল ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)। শুক্রবার গভীর রাতে সালুওয়েসি দ্বীপে হওয়া ওই ভূমিকম্পে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হযেছে বলে জানিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা এজেন্সি। আহত শতাধিক। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.২। মাঝরাতের ওই ভূমিকম্পে গুঁড়িয়ে যায় একটি হাসপাতাল। ভেঙে পড়েছে বহু বাড়িও। গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। অনেকেরই স্মৃতিতে ভেসে উঠছে আড়াই বছর আগে হওয়া ভূমিকম্প ও সুনামির ভয়ংকর স্মৃতি। সেবার মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছিল হাজার।
ম্যাজেনে শহরের উত্তরপূর্বে ৬ কিমি দূরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। কম্পনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিমি গভীরে। মাঝরাতে হঠাৎই মাটি কাঁপতে শুরু করলে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ। ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি মৃত্যুর খবর মিলেছে মামুজু শহরে। শেষ পাওযা খবর পর্যন্ত সেখানে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মামুজুর দক্ষিণ অঞ্চল থেকে মিলেছে আরও ৮ জনের মৃত্যুর খবর। এখনও বহু মানুষই ধ্বংসস্তূপের তলায় রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীরের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক’, দাবি ব্রিটেনের মন্ত্রীর, অস্বস্তিতে দিল্লি]
মামুজুর একটি হাসপাতাল ভূমিকম্পের কবলে পড়ে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। বহু রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মী এখনও তার ভিতরে আটকে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা এজেন্সির এক কর্মী আরিয়ান্তো। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঠিক কতজন ওখানে আটকে রয়েছেন, সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
শক্তিশালী ভূমিকম্পের দ্বিতীয় তরঙ্গের জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যেই কিছুটা স্বস্তির খবর, দেশে কোনও সুনামি বার্তা জারি করা হয়নি। এর আগে বৃহস্পতিবারও মাঝারি এক কম্পন অনুভূত হয়েছিল সুলাওয়েসিতে। রিখটার স্কেলে যার তীব্রতা ছিল ৫.৯। তখনও কয়েকটি বাড়ির ক্ষতি হওয়ার কথা জানা গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অফ ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ার কারণে নিয়মিতই ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত হয় ইন্দোনেশিয়ায়।