সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকা জুড়ে ‘গান কালচার’-এর যে বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপর হামলা নাকি তারই অংশ। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গুলির আওয়াজ যেন আমেরিকার কাছে গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে। কমবয়সিদের হাতে হাতেই ঘুরছে বন্দুক। বন্দুকবাজির রিপোর্ট গা শিউরে ওঠার মতো।
রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আমেরিকায় ৩০২টি বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই সব ঘটনায় সব মিলিয়ে ৩৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১২১৬ জন। এরপর এই জুলাই মাসেও ট্রাম্পের উপরে হামলার ঘটনা-সহ ৩৪টি ‘মাস শুটিং’-এর ঘটনা ঘটেছে আমেরিকায়। এই সব ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৩২ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলাটি হয়েছিল কেন্টাকির ফ্লোরেন্সে। সেই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫ জন।
[আরও পড়ুন: বুলেট নয় জবাব হোক ব্যালট, ট্রাম্পকে ‘বন্ধু’ বলে জনতাকে শান্ত থাকার আর্জি বাইডেনের]
এদিকে গত ১০ জুলাই ক্যালিফোর্নিয়ার আলামেডায় এক বন্দুকবাজের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের। চলতি বছরের জানুয়ারিতে শিকাগোর শহরতলিতে তিনটি ভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে গুলি চালিয়ে ৮ জনকে খুন করেছিল এক বন্দুকবাজ। এই আবহে ১৩ জুলাই পর্যন্ত এই বছর আমেরিকায় মাস শুটিংয়ে অফিশিয়ালি মৃত ৪২২ জন। আর এখনও পর্যন্ত মাস শুটিংয়ের ঘটনা ঘটেছে ৩৩৬টি। প্রসঙ্গত, আমেরিকায় প্রায় নিয়মিত বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা সামনে আসে। প্রতিবছরই এই ধরনের ঘটনায় কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয় মার্কিন মুলুকে। এর আগে গতবছর ২৫ অক্টোবর আমেরিকার মেন প্রদেশের ছোট্ট শহর লেউইস্টনে বন্দুকবাজের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ১৮ জনের। এদিকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিসিসিপিতে এই ধরনেরই গুলিচালনার এক ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৬ জনের।
এর আগে ২০২৩ সালেরই জানুয়ারি মাসে একই দিনে তিনটি পৃথক ঘটনায় তিনটি শহরে ৮ জন নিহত হয়েছিলেন আমেরিকায়। সেদিনের ঘটনায়, ক্যালিফোর্নিয়ার হাফ মুন বে শহরে একটি হামলায় নিহত হয়েছিলেন ৪ জন। দেস মইন শহরের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্দুকবাজের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ২ শিশুর। এদিকে সেদিনই শিকাগোতে এক ডাকাতির ঘটনায় দুজন মারা গিয়েছিলেন। আর এই ঘটনার কয়েকদিন আগে ক্যালিফোর্নিয়াতেই চিনা নববর্ষ পালনের সময় বন্দুকবাজের হামলা চলেছিল। সেই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১০ জন।