সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের (Israel) লড়াই কিছুতেই থামছে না। আন্তর্জাতিক মঞ্চের উদ্বেগ বাড়িয়ে গাজায় লাগাতার বিমান হানা চালিয়ে যাচ্ছে ‘ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস’। পালটা তেল আভিভ, আশকেলন-সহ একাধিক ইজরায়েলী শহরে রকেট হামলা চালাচ্ছে হামাস। সব মিলিয়ে এপর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৬৫ জন। নিহত হয়েছেন ৭ ইজরায়েলী নাগরিক।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন দ্বন্দ্বে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে গ্রেটা থুনবার্গ]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গাজায় ইজরায়েলী যুদ্ধবিমানের বোমাবর্ষণে নিহত হয়েছে হামাসের সিটি কমান্ডার বাসেম ইসা। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১৬টি শিশু ও পাঁচ জন মহিলা রয়েছেন। ৮৬টি শিশু-সহ আহত অন্তত ৩৬৫ জন মানুষ। এদিকে, বুধবার রাতে ফের তেল আভিভ শহরে রকেট হামলা চালায় হামাস। ওই হামলায় একটি পাঁচ বছরের শিশু নিহত হয়। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। সব মিলিয়ে ১ সৈনিক-সহ ইজরায়েলে মৃতের সংখ্যা ৭। ইহুদি দেশটির নিরাপত্তা সংস্থা ‘শিন বেত’ জানিয়েছে, বিমান হানায় হামাসের সিটি কমান্ডার-সহ একাধিক শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছে। নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, হামাসের রকেট গ্রুপের অন্যতম শীর্ষকর্তা জামা তাহলা, জঙ্গি সংগঠনটির অস্ত্রভাণ্ডারের দায়িত্বে থাকা জামাল জাবেদা ও ইঞ্জিনিয়ার হাজেম হাতিব। সব মিলিয়ে হামাসের কোমর প্রায় ভেঙে দিয়েছে ইহুদি দেশটি। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজ সাফ জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলে ‘সম্পূর্ণ শান্তি’ প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাবে ইজরায়েলী বাহিনী।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার থেকে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুগামীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়েছে। এবার তা ক্রমে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। ওই দিন রমজানের নমাজ পড়তে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে জড়ো হন হাজার হাজার মুসলমান। বলে রাখা ভাল, আল আকসা মসজিদ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম শ্রদ্ধার স্থান। পাশাপাশি, এটি ইহুদিদের কাছেও একটি পবিত্র স্থান। যাকে তারা টেম্পল মাউন্ট হিসাবে জানেন। এই জায়গায় এর আগেও বেশ কয়েকবার দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। ইজরায়েলের পুলিশ দাবি করেছে, ওই দিন সন্ধ্যার নামাজের পর হাজার হাজার মুসলিম ধর্মাবলম্বী দাঙ্গা শুরু করলে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য’ শক্তি প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে। এদিকে, বসতি স্থাপনের জন্য পূর্ব জেরুজালেমের বাড়িঘর থেকে প্যালেস্তিনীয়দের উচ্ছেদ করার সম্ভাবনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠেছে।