shono
Advertisement

লিবিয়ার খোমস উপকূলে ভয়াবহ নৌকাডুবি, মৃত কমপক্ষে ৭৪ জন শরণার্থী

মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Posted: 02:07 PM Nov 13, 2020Updated: 02:13 PM Nov 13, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিবিয়ায় নৌকা উলটে মৃত্যু কমপক্ষে ৭৪ জন পরিযায়ীর। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে লিবিয়া (Libya)’র রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ১২০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত বন্দর শহর খোমসের উপকূলবর্তী এলাকায়।

Advertisement

রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (IOM) তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, লিবিয়া থেকে শিশু ও মহিলা-সহ ১২০ জনের বেশি শরণার্থীকে নিয়ে একটি নৌকা ইউরোপের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তারা যখন লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ১২০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত খোমস (Khoms) উপকূলের পাশ দিয়ে যাচ্ছে তখন আচমকা নৌকাটি উলটে যায়। মর্মান্তিক এই ঘটনার জেরে এখন পর্যন্ত ৭৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ৪৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। এই নিয়ে গত অক্টোবর মাস থেকে লিবিয়া উপকূলে আটটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটল। এর ফলে প্রায় ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

[আরও পড়ুন: আরও ‘একঘরে’ ট্রাম্প, এবার বিডেনের দিকে ঝুঁকছেন রিপাবলিকানদের একাংশ]

লিবিয়ায় প্রশাসন সূত্রে খবর, মৎস্যজীবীদের মাধ্যমে নৌকা দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই খোমস উপকূলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়। তারা ৪৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে সমর্থ হলেও ৭৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন। দুদিন আগেও অন্য একটি নৌকাডুবির ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০১১ সালে লিবিয়ার স্বৈরাচারী শাসক মোয়ামের কাধাফির পতনের পর থেকে মানব পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে দেশের অর্থনৈতিক হাল ক্রমশ খারাপ হওয়ার জন্য লিবিয়ার প্রচুর মানুষও সমুদ্রপথে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিচ্ছে। এর ফলে গত সাত বছরে প্রায় ২০ হাজার মানুষ নৌকাডুবিতে মারা গিয়েছে। করোনা মহামারীর ফলে গত সাত মাসে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। লিবিয়ার মতো তিউনিসিয়ার থেকে প্রচুর মানুষ বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

[আরও পড়ুন: বারাক ওবামার বইয়ে ভূয়সী প্রশংসা মনমোহনের, রাহুল প্রসঙ্গে বললেন, ‘যোগ্যতা কম’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement