সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস খানেক আগে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনায় খবরে এসেছিল নেপাল। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল চারজন ভারতীয়র। এবার ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটল নেপালে (Nepal)। খাদে পড়ল চলন্ত বাস। মৃত্যু হল ৯ জনের। আহত অন্তত ৩০ জন। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল। আহতদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে বাগমতি প্রদেশের রামেচাপ এলাকায়। বাসটির গন্তব্য ছিল কাঠমাণ্ডু (Kathmandu)। চালক ও সহকারী ছাড়াও মোট ৪০ জন যাত্রী ছিল ওই বাসে। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, রামেচাপের লুভাঘাট এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চলন্ত বাসটি। কোনওভাবে সেটি রাস্তার পাশের খাদে গিয়ে পড়ে। প্রায় চল্লিশ ফুট নীচে গড়িয়ে যায় বাসটি। তাতেই মৃত্যু হয় ৯ জনের। আহত হয়েছেন ৩০ জন যাত্রী।
[আরও পড়ুন: ২২ বছরের বন্দুকবাজ হামলা চালায় শিকাগোয়, তার ইউটিউব চ্যানেলে হিংসা, অস্থিরতার ভিডিও]
নেপাল পুলিশের এক আধিকারিক জানান, “বাসটি কাঠমাণ্ডু যাচ্ছিল। দর্ঘটনার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৯ জনের। আহত ৩০ জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন স্থানীয় ধূলিখেল হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কয়েকজনকে কাঠমাণ্ডুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।” অতিরিক্ত গতি ও খারাপ আবহাওয়ার জন্য দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনায় নেপালে মৃত্যু হয় ১৯ জন যাত্রীর। নেপালের পোখরা (Pokhara) থেকে জমসমের উদ্দেশে উড়েছিল বিমানটি। তাতে তিন কেবিন ক্রু ছাড়া ছিলেন ১৯ জন যাত্রী। তাঁদের মধ্যে চার ভারতীয় যাত্রী ছিলেন। আচমকাই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (ATC) সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। মাঝ আকাশ থেকে উধাও হয় বিমানটি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভারত সরকার তড়িঘড়ি উদ্ধারকাজে সাহায্যের বার্তা দেয় নেপালকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফেও সেনার উদ্ধারকারী বিমান পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও বন্দুকবাজের হানা, নিহত ৬, আহত কমপক্ষে ২৪]
পরে ধ্বংসাবশেষ মেলে বিমানটির। ওই ঘটনায় সমস্ত যাত্রীর মৃত্যু হয়। মৃত ৪ ভারতীয়কে শনাক্ত করা হয়েছিল। চারজনই মহারাষ্ট্রের একটি পরিবারের সদস্য। ছুটি কাটাতে তাঁরা নেপাল গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সফর হয়ে ওঠে বিভীষিকাময়।