shono
Advertisement

সম্প্রীতির নজির, কালীপুজোর বলি শেষে পীরের দরগায় উৎসর্গ করা হয় সিন্নি

জানেন কেন?
Posted: 02:50 PM Nov 12, 2020Updated: 04:15 PM Nov 12, 2020

রাজা দাস, বালুরঘাট: প্রায় ৫০০ বছর আগে জমিদাররা শুরু করেছিলেন পুজো। সেই নিয়মে আজও মা কালী (Kali Puja) পুজিতা হন দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের মনহোলিতে। পুজোয় মেতে ওঠেন হিন্দু, মুসলিম উভয় সম্প্রদায়। 

Advertisement

দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের মনহোলির হাটখোলায় রয়েছে একটি কালীমন্দির। জোড়া কালীমাতা পুজো কমিটি আয়োজন করে ওই মন্দিরের পুজোর। প্রতি বছর শাক্ত মতে হয় কালী আধারনা হয়। মন্দিরের পাশেই রয়েছে পীরের দরগা। জানা গিয়েছে, রাতে কালীপুজোর বলিদান পর্বের শেষে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা সিন্নি চড়ান পীরের দরগায়। চলে কোরান পাঠ। আর সিন্নি উৎসর্গ করা থেকে শুরু করে কোরান পাঠ-সমস্তটার পুরো খরচ বহন করে ওই জোড়া কালীমাতা পুজো কমিটি।

[আরও পড়ুন: ‘ভিড় নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি লোকাল ট্রেন চালান’, প্রথম দিনের পরিস্থিতি দেখে আরজি মমতার]

কথিত আছে, একসময় মনহোলি এলাকার জমিদার বাড়িই শুরু করেছিল এই নিয়ম। সেই নিয়ম আজও অটুট। তবে জমিদারি প্রথা বিলোপের পর বংশধররা এই পুজোর খরচ বহন করেন না। এখন গ্রামের মানুষই কমিটি গঠন করে কাঁধে তুলে নিয়েছে পুজোর সমস্ত দায়িত্ব। আর সেভাবেই চলছে পুজো। এবিষয়ে এলাকার বাসিন্দা মুন্না সরকার বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা এই পুজো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন। আগামীতে এই ধারা এভাবেই বজায় থাকবে বলেই আশা।” তবে কেন এমন নিয়মে শুরু করেছিল ওই জমিদার পরিবার, তা অজানা স্থানীয়দেরও।

ছবি: রতন দে

[আরও পড়ুন:দুর্গার মতো কালীও দশভুজা! মালদহের প্রাচীন পুজোর মূল আকর্ষণ দেবীর এই বিশেষ রূপ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার