সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উইঘুর (Uighur) মুসলিমদের উপর অকথ্য অত্যাচারের জেরে এবার চিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘে সরব হল জামার্নি, আমেরিকা ও জাপান-সহ ৩৯টি দেশ। এর পাশাপাশি বেজিংয়ের হংকং ও তিব্বত নীতিরও তীব্র বিরোধিতা করে তারা। এভাবে একাধিক দেশের সমালোচনার মুখে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বেজিং। হোয়াইট হাউসের বিরুদ্ধে অন্যদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘ (United Nation) -এর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জার্মানির নেতৃত্বে একটি লিখিত বিবৃতি জমা দেয় আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া-সহ ৩৯টি দেশ। ওই বিবৃতিতে চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের বন্দিশিবিরে উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচারের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি হংকং (Hong Kong) -এর বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থতি ও তিব্বতের উপর চিনের দমনপীড়ন নীতির কড়া সমালোচনা করে হয়েছে ওই বিবৃতিতে। শিনজিয়াং প্রদেশের পরিস্থিতি পরিদর্শনে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দলকে অনুমতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। সেখানে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে তার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: তাইওয়ানে হামলা চালালে ফল ভুগতে হবে, চিনকে হুমকি আমেরিকার ]
জার্মানি, ব্রিটেন, আমেরিকা ও জাপান ছাড়াও অন্য যে দেশগুলি ওই বিবৃতিতে সই করেছে তারা হল, অস্ট্রেলিয়া, আলবেনিয়া, অস্ট্রিয়া, নিউজিল্যান্ড, বেলজিয়াম, বসনিয়া, হার্জেগোভিনা, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, হাইতি, হন্ডুরাস, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইটালি, লাটাভিয়া, লিচেনস্টেইন, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, রিপাবলিকান অব মার্শাল আইল্যান্ডস, মোনাকো, নাউরু, নেদারল্যান্ডস, উত্তর মেসোডোনিয়া, নরওয়ে, পালাউ, পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড।
এপ্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা ও তাকে সম্মান জানানোর জন্য চিনের কাছে দাবি জানাচ্ছি। বিশেষ করে শিনজিয়াং ও তিব্বত তারা যে আচরণ করছে তা সমর্থনযোগ্য নয়। হংকংয়ের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আমরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।’
এদিকে চীনের পক্ষে ৪৫টি দেশের সমর্থন নিয়ে পালটা বিবৃতিতে কিউবা বলেছে, শিনজিয়াং প্রদেশের বিষয়ে চিনে নীতি নিয়ে সমালোচনা করা বেজিংয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ। অন্যদিকে অন্য একটি বিবৃতিতে হংকং ইস্যুতে চিনের নীতিকে সমর্থন জানিয়েছে পাকিস্তান-সহ কয়েকটি দেশ। আর এই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে রাষ্ট্রসংঘের চিনের স্থায়ী প্রতিনিধি ঝাং জুন দাবি করেন, চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য তাদের নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। চিনের মানবাধিকার পরিস্থিতি অন্য দেশগুলির তুলনায় উন্নত। এই বিষয়ে আমেরিকাকে আয়না দেখার পরামর্শও দেন তিনি।