সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও গাজায় জারি রয়েছে হত্যাযজ্ঞ। ইজরায়েলি সেনার অভিযানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা ভূখণ্ড। পাশাপাশি গাজায় হামাসের ডেরায় এখনও বন্দি ইজরায়েলর শতাধিক মানুষ। এই পরিস্থিতিতে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে ভারত। একইসঙ্গে দ্রুত পণবন্দিদের ঘরে ফেরানোর বিষয়টির উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বুকে বেনজির হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। এই সন্ত্রাসবাদের কড়া নিন্দা জানিয়েছিল ভারত। আবার গাজায় নিরীহ প্যালেস্তিনীয়দের মৃত্যুতেও সরব হয়েছে নয়াদিল্লি। বুধবার রাষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধি আর রবীন্দ্র বলেন, "গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে যে হামলা হয়েছিল ভারত তার কড়া প্রতিবাদ জানায়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান একই থাকবে। তবে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের ফলে প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ মানুষ। আমরা এর নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা আলোচনা ও কূটনৈতিক বৈঠকের মাধ্যমে এই সংঘাতের সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।"
[আরও পড়ুন: চিনের শপিং মলে বিধ্বংসী আগুন! মৃত অন্তত ১৬]
একদিকে চলছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, অন্যদিকে জঙ্গিদের ডেরায় বন্দি শয়ে শয়ে মানুষ। এনিয়ে আর রবীন্দ্র বলেন, "সকলের নিরাপত্তার ও মঙ্গলের জন্য আমরা অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি চাই। এই লড়াই যেন পুরোপুরীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। একই সঙ্গে গাজায় যেন মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে পণবন্দিদের ঘরে ফেরানোর বিষয়েও আমরা জোর দিচ্ছি।" বিশ্লেষকদের মতে, মিশর, সৌদি আরবের মতো মুসলিম বিশ্বের দেশের কাছে ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায় না ভারত। আবার সময় পরীক্ষিত বন্ধু ইজরায়েলের পাশ থেকেও সরে আসতে চায় না সাউথ ব্লক। তাই রাষ্ট্রসংঘে এদিন ভারসাম্য বজায় রেখেই অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত। সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করে পণবন্দিদের মুক্তির বিষয়ে যেমন জোর দেওয়া হয়েছে। তেমনই গাজার মৃত্যুমিছিল বন্ধের জন্য যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানানো হয়েছে।
এদিকে, ইজরায়েলের অভিযানের ফলে গাজায় তীব্র হয়েছে ওষুধের সংকটও। যা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। গাজায় জারি রয়েছে মৃত্যুমিছিল। মৃতের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ৩৮ হাজার। হাসপাতালগুলো উপচে পড়ছে মৃতদেহে। আহতের সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে সবকিছু সামাল দিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে। এর মাঝেই গত এপ্রিল মাস থেকে দেখা দিয়েছে ওষুধের আকাল।