শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: এক-আধটা নয়, শোওয়ার ঘর থেকে বেরিয়ে এল ২০টি গোখরো সাপ। হাড়হিম করা দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের সামাট গ্রামের বটব্যাল পরিবার। তবে আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও সাপগুলিকে মেরে ফেলেননি তাঁরা। বনদপ্তরে খবর দেওয়া হয়েছে। শনিবার বনকর্মীরা গিয়ে সাপগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। বনদপ্তরের ঘাটাল রেঞ্জের আধিকারিক বিশ্বনাথ মুদিকোরা বলেন, “ওই পরিবারকে অনেক ধন্যবাদ। তাঁরা সাপগুলিকে মেরে ফেলেননি। বনকর্মীরা গিয়ে সাপগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে।”
বনদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধেবেলা দাসপুরের সামাট গ্রামের দিবাকর বটব্যালের বাড়ির মেয়েরা শোওয়ার ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। সেসময়ই আচমকা একটি গোখরো সাপ বেরিয়ে আসে। আতঙ্কিত মেয়েরা চিৎকার করতে করতে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। দিবাকরবাবু ঘরে ঢুকে দেখেন, সেখানে একটি গর্ত রয়েছে। সেই গর্ত খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে একে একে ২০টি বিষধর গোখরো সাপ। প্রথমে বেশ ভয় পেলেও, পরে সাহস সংগ্রহ করে সাপগুলিকে না মেরে একটি বড় জারে রেখে দেন দিবাকরবাবু। সাপ ধরতে তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর দাদা শ্যামসুন্দরবাবু ও তাঁর এক বন্ধু সঞ্জীব চন্দ।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্য পরিযায়ীদের কর্মসংস্থান, ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের হাত ধরল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন]
দিবাকরবাবু বলেন, “বাড়ির ভিতরে কবে যে এই ধরনের গর্ত তৈরি হয়েছে জানতে পারিনি। সেই গর্তেই যে এতগুলি গোখরো সাপ বাসা বাঁধবে, তাও আমাদের নজরে আসেনি। আমরা খুব ভাগ্যবান বলতে পারেন।” দিবাকরবাবুদের সাহসিকতায় মুগ্ধ ঘাটালের রেঞ্জার বিশ্বনাথ মুদিকোরা। তিনি বলেন, “ওই তিনজনকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। সাহস করে যে সাপগুলিকে ধরে রেখেছেন, তার জন্য ওঁদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।” তিনি জানিয়েছেন সাপগুলি এক একটি দুই থেকে আড়াই ফুট পর্যন্ত লম্বা। সামান্য অসতর্ক হলেই বড়সড় বিপদ ঘটে যেতে পারত। তবে বিষধর গোখরো কেন গৃহস্থের ঘরে? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, লকডাউনে পথঘাট ফাঁকা পেয়ে সাপের দল বেরিয়ে পড়েছিল। এরপর তারা এই ঘরে ঢুকে আস্তানা গেড়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ হয়েছে, সব হিসেব নেব’, হুঁশিয়ারি দিলীপের]
The post শোওয়ার ঘরে কিলবিল করছে বিষাক্ত গোখরো! সাহস করে তাদের জারবন্দি করলেন গৃহকর্তা appeared first on Sangbad Pratidin.