লখনউ সুপার জায়ান্টস: ১৬৬/৭ (মার্শ-৩০, পন্থ-৬৩, জাদেজা- ২৪/২, পাথিরানা- ৪৫/২)
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৬৮/৫ (রাচীন-৩৭, দুবে-৪৩*, ধোনি-২৬*, বিষ্ণোই- ১৮/২)
৫ উইকেটে জয়ী চেন্নাই সুপার কিংস

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার কি তাঁর অবসর নেওয়া উচিত? দলে বেকারই জায়গা দখল করে আছেন? মহেন্দ্র সিং ধোনি উত্তরটা দিলেন সোমসন্ধ্যায়। না, এখনও অধিনায়ক হিসেবে তাঁকেই দরকার। এখনও উইকেটের পিছনে তিনিই সেরা। এখনও ফিনিশার হিসেবে দলকে জিতিয়ে দিতে পারেন তিনি। তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের গর্ব আর আবেগই শুধু নন, অপরিহার্যও। তিনি থাকলে হারতে থাকা ম্য়াচের মোড়ও ঘুরে যেতে পারে। ঠিক যেমনটা হল এদিন। ঋষভ পন্থের লখনউকে তাঁদের মাঠেই মাটি ধরাল ধোনি অ্যান্ড কোং। পাঁচ ম্যাচ পর স্বস্তির নিশ্বাস চেন্নাই ভক্তদের।
আরসিবি, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস, পাঞ্জাব কিংস, কেকেআর। পরপর পাঁচ ম্যাচে পরাস্ত হলে যে কোনও দলেরই আত্মবিশ্বাস ভেঙে যায়। তার উপর চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন খোদ অধিনায়ক রুতুরাজ। কিন্তু তাতে কী! দলের আসল সম্পদ তো অক্ষুণ্ণ। সেই ধোনিকে আবারও পুরনো ছন্দে দেখে উচ্ছ্বসিত সমর্থকরা।
ধোনির মতোই এদিন ছন্দে ফেরেন পন্থও। চলতি মরশুমে লখনউ ছন্দে থাকলেও অধিনায়ককেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ব্যাট হাতে তাঁর লাগাতার ব্যর্থতা শিবিরের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সোমবার অবশেষে চলল তাঁর ব্যাট। স্ট্রাইক রেট (১২৮.৫৭) আহামরি কিছু না হলেও ৬৩ রান করে দলকে লড়াই করার জায়গায় অন্তত পৌঁছে দেন অধিনায়ক। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ভালোই বেগ পেতে হয় লখনউ ব্যাটিং অর্ডারকে। পন্থের হাফ সেঞ্চুরি এবং মিচেল মার্শের ৩০ ছাড়া বাকিরা ২৫ রানের গণ্ডিও পেরতে পারেননি। দুটি করে উইকেট তুলে নেন জাদেজা এবং পাথিরানা।
তবে এদিনও ম্যাচের মধ্যমণি ছিলেন সেই মহেন্দ্র সিং ধোনিই। কে বলবে, অ্যাওয়ে মাঠে খেলতে নামছেন! 'থালা' শো দেখতে গ্যালারি ছেয়ে গিয়েছে ইয়েলো আর্মিতে। তাঁদের নিরাশ করেননি ক্যাপ্টেন কুল। এদিন আইপিএলে ২০০টি উইকেট তুলে নেওয়ার নজির গড়েন তিনি। বয়সের ক্লান্তিকে ফুৎকারে উড়িয়ে দুরন্ত থ্রোয়ে নন-স্ট্রাইকার এন্ডে থাকা আব্দুল সামাদকে আউট করে অবাক করে দেন দর্শককে। ব্যাট হাতেও দেখা মেলে সেই ফিনিশার ধোনির। তবে তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধে দুরন্ত ব্যাটিং করেন শিবম দুবে। ৪৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। আপাতত লাস্ট বয় তকমা না ঘুচলেও এই জয় ধুঁকতে থাকা চেন্নাই শিবিরকে খানিকটা অক্সিজেন দিল বইকী!