অরূপ বসাক, মালবাজার: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উলটপুরাণ! শাসকদল তৃণমূল (TMC) থেকে এবার সিপিএমে (CPM) যোগ দিল অন্তত পঞ্চাশ পরিবার। মালবাজার শহরে স্টেশন রোডে অবস্থিত সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে মালবাজার (Malbazar) ব্লকের তেশিমিলা গ্রাম পঞ্চায়েতে বৃহস্পতিবার দলবদল হয়েছে। তৃণমূলে থাকাকালীন কোনও সুযোগ-সুবিধা মেলেনি বলে দাবি তাঁদের। সেই কারণে তৃণমূলের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে দলত্যাগ বলে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PM Awas Yojona) আওতাধীন ঘর বন্টনকে কেন্দ্র করে মালবাজার (Malbazar) বিডিও অফিসের সিপিএম মাল এরিয়া কমিটির তরফে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়। এরপর এদিন দলীয় কার্যালয়ে চলে যোগদান পর্ব। তেশিমিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন ডেমকাঝোরা এলাকার জাহিনুর ইসলাম, সুবিয়া খাতুন, সাফিয়া খাতুন, তামিনুর ইসলাম, নুর রহমান, বুধুরাম ওঁরাও, সুমন মাহালিরা সিপিএমের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেয়। সিপিএমের দাবি, ৫০ টি পরিবার যোগদান করেছে।
[আরও পড়ুন: স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল যানজটে কাবু ঢাকা, সাধারণের জন্য শুরু মেট্রো পরিষেবা]
এদিনের যোগদানকারী জাহিনুর ইসলাম, সুবিয়া খাতুন, সাফিয়া খাতুনরা জানালেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় সদস্য ছিলেন ছিলাম। আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও কোনও রকমের সুযোগ-সুবিধা আমরা পাইনি। আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছল ব্যক্তিরা পঞ্চায়েতের তরফে ঘর থেকে শুরু করে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। দলেরই নেতারা সরকার থেকে গরিব মানুষের জন্য বরাদ্দ সুবিধা নিজেরাই দখল করে বসে আছেন। সেই কারণে দলের নেতৃত্বের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পুরনো দলেই ফিরে এলাম।”
[আরও পড়ুন: মাত্র ৮ মাসে ৪৮ কেজি মেদ ঝরালেন দিল্লির পুলিশকর্তা, ওজন কমিয়ে পেলেন পুরস্কার]
প্রসঙ্গত সিপিএম মাল এরিয়া কমিটির সম্পাদক রাজা দত্ত বলেন, “দলে যোগদানকারীদের ভুল বুঝিয়ে তৃণমূল নিজেদের দলে নিয়েছিল। তৃণমূলের অপকর্ম বুঝতে পেরে পুনরায় তাঁরা আমাদের দলে ফিরে এলেন। এখন থেকে তাঁরা ওই এলাকায় আমাদের দলের হয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন।” এদিনের দলত্যাগের বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ওয়ারেসুল আম্বিয়া জানান, ”এরকম কোনও খবর আমাদের কাছে নেই। যাঁরা যোগদান করেছেন তাঁরা সিপিএমের লোকজন।”