শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: নিমতিতা (Nimtita) কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য সিআইডির হাতে। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত সইদুল জেরায় জানিয়েছে পুরনো শত্রুতার কারণেই মন্ত্রী জাকির হোসেনকে হত্যার ছক কষেছিল সে। পরিকল্পনামাফিক তৈরি করেছিল বোমা। ঘটনার নেপথ্যে আর কে বা কারা রয়েছে, তা জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।
নিমতিতা কাণ্ডের তদন্তে নেমে কয়েকদিন আগে এক বাংলাদেশি যুবককে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি। পরে গত শুক্রবার আবু সামাদ ও সইদুল ইসলাম নামে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুতির বাসিন্দা সইদুলকে জেরা করেই চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে বলে দাবি সিআইডির। তদন্তকারী সূত্রে খবর, ধৃত সইদুল দীর্ঘদিন ধরেই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। বোমা তৈরিতে পারদর্শী সে। খোদ জাকির হোসেন (Jakir Hossain) একাধিকবার তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সেই কারণে সুতির বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও অধিকাংশ সময়ই ভিন রাজ্যে কাটাতে হতো তাকে। সেই কারণে তৈরি হয়েছিল আক্রোশ। এরপরই জাকির হোসেনকে খুনের ছক কষে সে। তৈরি করে বোমা। নির্দিষ্ট সময়ে তা ব্যাগে ভরে পৌঁছে দেয় নিমতিতা স্টেশনে। মন্ত্রীকে হত্যার জন্য বোমা তৈরিতে কে সাহায্য করেছিল সইদুলকে? বোমা তৈরি থেকে তা স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া, গোটা ঘটনায় কে বা কারা সহযোগিতা করেছে ধৃতকে? এর পিছনে কোনও জঙ্গি সংগঠন রয়েছে কি না, এহেন একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সিআইডি আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় বাইক আরোহীর মৃত্যুর অভিযোগে উত্তাল আসানসোল, পথ অবরোধ স্থানীয়দের ]
উল্লেখ্য, ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে কলকাতা আসার জন্য ট্রেন ধরতে নিমতিতা স্টেশনে গিয়েছিলেন মন্ত্রী জাকির হোসেন। সেখানে বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন শ্রমমন্ত্রী জাকির হোসেন-সহ কমপক্ষে ২৩ জন। মন্ত্রীর হাতের একটি আঙুল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে, তা জানতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিআইডি, বম্ব স্কোয়াড, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। ঘটনাস্থলে যান অনুজ শর্মাও। ১৫ দিনের মাথায় ঘটনার রহস্যভেদ করলেন সিআইডি আধিকারিকরা।