সাংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দি বনাম আঞ্চলিক ভাষা বিতর্কে সরগরম দেশ। রাজনেতা থেকে অভিনেতা সকলেই কোনও না কোনও পক্ষ নিয়ে বিতর্কে ঘি ঢালার কাজ করেছেন। এহেন পরিস্থিতিতে বিজেপি কর্মীদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তা, ‘ভাষা নিয়ে সংঘাত তৈরির চেষ্টা চলছে। নাগরিকদের সতর্ক করুন।”
[আরও পড়ুন: স্বামীদের কী বলেছিলেন ভাবুন, দ্রৌপদী-সীতার চেয়ে কে বড় নারীবাদী! মন্তব্য JNU উপাচার্যের]
শুক্রবার জয়পুরে বিজেপি কর্মীদের এক সভায় বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সম্প্রতি দেশজুড়ে ‘ভাষাগত আধিপত্য’ বা সহজ কথায় হিন্দি ভাষার ‘আগ্রাসন’ নিয়ে জোর বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, দেশের বৈচিত্রে আঘাত হেনে আরএসএস-এর ‘হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্তান’ নীতি কার্যকর করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। তাই তারা এবার দেশের মানুষের উপর ‘রাষ্ট্রভাষা’ হিসেবে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়াস করছে। এদিন সেই অভিযোগ উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী পালটা বলেন, “জাতীয় শিক্ষানীতিতে আমরা প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষাকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভাষা নিয়ে সংঘাত তৈরির চেষ্টা চলছে। নাগরিকদের সতর্ক করুন।”
কিছুদিন আগেই নতুন করে দেশের প্রধান ভাষা হিসেবে হিন্দির (Hindi) পক্ষে সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। যার বিরোধিতায় আসরে নেমেছিলেন দক্ষিণের কিংবদন্তি সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান। বিতর্ক উসকে দেন ‘মক্ষি’ খ্যাত কন্নড় অভিনেতা কিচ্চা সুদীপ। বলেন, হিন্দি আর রাষ্ট্রভাষা নয়। তার পালটা দেন বলি তারকা অজয় দেবগন। তারপরই সেই বিতর্ক আরও উসকে সুদীপকে সমর্থন করে এগিয়ে আসেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই।
কিন্তু বিজেপির দাবি, হিন্দি নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। এটা আসলে বিরোধীদের চক্রান্ত। গত এপ্রিল মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ইপলক্ষে নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আঞ্চলিক ভাষাগুলি গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি বলেন, আঞ্চলিক ভাষায় ডাক্তারি পড়ার সুযোগ চিকিৎসা বিজ্ঞান অধ্যয়নে বিপ্লবী পদক্ষেপ।