বাবুল হক, মালদহ: শিশুদের মধ্যে খেলা নিয়ে ঝগড়া। আর তার জেরেই মাত্র নয় বছরের এক শিশুকন্যাকে গরম চামচের ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাকিমার বিরুদ্ধে। শরীরের একাধিক জায়গায় ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে শিশুটিকে বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই শিশুকন্যাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মালদহের ইংরেজবাজারের গান্ধীপার্ক এলাকার এই ঘটনায় শহরজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
শিশু নির্যাতনের এমনই অমানবিক ঘটনা ঘটেছে মালদহ শহরের একটি ওয়ার্ডে। অভিযোগ, রান্না করার চামচ আগুনে গরম করে ন'বছরের শিশুর শরীরে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন শিশুর মা-ও। পড়শিদের তৎপরতায় মা ও শিশুকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় ইংরেজ বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু ঘটনার পর তিনদিন কেটে গেলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। যদিও ইংরেজ বাজার থানার পুলিশের দাবি, শিশুটির কাকিমার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে। তাঁর খোঁজ চলছে।
[আরও পড়ুন: অগ্নিমূল্য বাজার, ১০ দিনের মধ্যে দাম কমাতে কড়া দাওয়াই মুখ্যমন্ত্রীর]
শিশুটির বাবা ও মা জানান, গত তিনদিন আগে বাচ্চাদের খেলা নিয়ে সামান্য গন্ডগোল হয়। তার জেরে তাঁদের বাচ্চা মেয়েটির শরীরে চামচ গরম করে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে। শিশুটির কাকিমা এই নৃশংস কাজ করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর ইংলিশবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে তাঁদের দাবি। অভিযুক্তের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন পাড়ার মহিলা ও পুরুষ সবাই।
মালদহের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান অম্বরীশ বর্মণ বলেন, "ঘটনাটি ভীষণ ভাবে নিন্দনীয়, নির্মম ও বর্বরোচিত। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শিশুটির ট্রমা কেয়ার কাউন্সেলিং এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছি। অভিযুক্তকে অতি দ্রুত যাতে গ্রেপ্তার করা হয় সেই বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এই ঘটনায় আক্রান্ত শিশুটি ও তার পরিবারের আইনি সহায়তা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও কাউন্সেলিং সাপোর্টের বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে।"