shono
Advertisement

চিনা প্রকল্প বাতিল করল অস্ট্রেলিয়া, ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি বেজিংয়ের

চিনের 'বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ' চুক্তি বাতিল করল ক্যানবেরা।
Posted: 08:55 AM Apr 23, 2021Updated: 11:45 AM Apr 23, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন জট। এবার চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ চুক্তি বাতিল করল ক্যানবেরা। ফলে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বেজিং। খানিকটা হুমকির সুরেই শি জিনপিং প্রশাসনের বার্তা, “এর ফলে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে দুই দেশের সম্পর্ক।” প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছে চিন।যদিও সিদ্ধান্তে অনড় থাকার কথা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া (Australia)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পরিবেশের স্বার্থে ভুললেন শত্রুতা, মার্কিন প্রেসিডেন্টের আহ্বানে বৈঠকে যোগ জিনপিংয়ের]

ভিক্টোরিয়া প্রশাসনের এই চুক্তি বুধবার রাতে বাতিল করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকার। সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, কাউকে প্রচারের সুবিধা করে দিতে অস্ট্রেলিয়া নিজের দেশে কোনও বৃহৎ পরিকাঠামো নির্মাণকে অনুমোদন দিতে পারে না। তাই অস্ট্রেলিয়া সরকার ভিক্টোরিয়া প্রদেশ প্রশাসনের এই চুক্তি বাতিল করছে। উল্লেখ্য, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ভূকৌশলগত অবস্থান দৃঢ় করতে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এটি। চুক্তি বাতিলের পক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকার জানিয়েছে, এই চুক্তি তাদের বিদেশনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

উল্লেখ্য, এর আগে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। যেমন চিন তথা বিশ্বের অন্যতম বহৎ মোবাইল সংস্থা হুয়েইকে নিষিদ্ধ করেছিল ক্যানবেরা। তারপরও ভিক্টোরিয়া প্রদেশের প্রশাসন কীভাবে চিনা সরকারের প্রস্তাবে সম্মতি দিল, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার দাটন সাফ জানিয়েছেন, “আমরা কখনওই এই ধরনের সমঝোতাকে অনুমোদন দিতে পারি না। আমরা কাউকে তাদের প্রচারের সুযোগ করে দিতে পারি না এভাবে।” তিনি আরও বলেছেন, “চিনের মানুষের সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। কিন্তু চিনের কমিউনিস্ট পার্টির চিন্তাধারা, নৈতিকতা বা মূল্যবোধ নিয়ে সমস্যা আছে অস্ট্রেলিয়া সরকারের।”

অস্ট্রেলিয়া যে বিদেশনীতির সঙ্গে কোনও সমঝোতা করবে না, সে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্টক মরিসনও। তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “স্বাধীনতার পক্ষে সঠিক ভারসাম্য চায় বিশ্ব।” মূলত এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের ক্রমবর্ধমান আর্থিক এবং সামরিক আগ্রাসন নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত-সহ একাধিক দেশ। কিছুদিন আগে কোয়াড শীর্ষ বৈঠকেও আমেরিকা, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপানের রাষ্ট্রপ্রধানরা চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় কৌশলগত সমঝোতা বৃদ্ধি এবং পরিকল্পনা রূপায়ণে গুরুত্ব দিয়েছেন। যা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেয় বেজিংও।

[আরও পড়ুন: করোনা আবহে ভারত সফর বাতিল করলেন রাশিয়ার ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement