সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: মানবিকতা ও সততা এখনও এ পৃথিবীতে রয়েছে। প্রমাণ করলেন মহেশতলা থানা এলাকার অটোচালক শেখ রবিয়াল। যাত্রীর ফেলে যাওয়া নগদ দুই লক্ষ টাকা, ল্যাপটপ থানায় জমা দিলেন তিনি। তাঁর সততার জন্য হারানো জিনিসপত্র ও নগদ টাকা পেলেন সুরজিৎ সাহা নামের ওই যাত্রী।
ঘটনার সূত্রপাত হয় মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ। বজবজ পায়েস্তার মোড় থেকে মহেশতলার দিকে সস্ত্রীক অটোতে করে বাড়ি ফিরছিলেন নুঙ্গি পারবাংলার বাসিন্দা সুরজিৎ সাহা। সেই সময় তাঁর সঙ্গে অফিসের ব্যাগটিও ছিল। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন সুরজিৎ। তাঁর ব্যাগের মধ্যে নগদ দু’ লক্ষ টাকা, ল্যাপটপ এবং কাজকর্ম সংক্রান্ত দরকারি কাগজপত্র ছিল।
[আরও পড়ুন: দীর্ঘক্ষণ নিখোঁজ থাকার পর পুকুরে মিলল পড়ুয়ার দেহ, শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন, ঘনাচ্ছে রহস্য]
অটোয় যেতে যেতে অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছিলেন সুরজিৎ। টানা ও কাগজপত্র ভরতি ব্যাগ, ল্যাপটপ অটোয় রেখেই নেমে চলে যান তিনি। যখন খেয়াল হয়, ততক্ষণে বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন সুরজিৎ। ব্যাগের কথা মনে পড়তেই মাথায় যেন বাজ ভেঙে পড়ে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে বজবজ ফাঁড়ি এবং মহেশতলা থানায় বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে দুই থানার পুলিশ সক্রিয় হয়। রাস্তায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। কিন্তু কোনওভাবেই অটোটিকে চিহ্নিত করতে পারা যায়নি।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার সকালেই অটোচালক শেখ রবিয়াল মহেশতলা থানায় সুরজিতের ব্যাগটি নিয়ে সশরীরে হাজির হন। তিনি বলেন, “যে জিনিস আমার নয়, তা আমি কেন নিয়ে নেব?” স্বাভাবিকভাবেই অটোচালকের এই সততার কারণে মহেশতলা থানার পুলিশ তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনার দেয়। সুরজিৎবাবুও অটোচালক শেখ রবিয়ালকে নগদ ৫০০০/- টাকা আর্থিক পুরস্কারে পুরস্কৃত করেছেন। অটোচালকের এই কাজে স্থানীয় মানুষও ধন্য ধন্য করছেন। ভাল কাজের জন্য নগদ পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়ে বেশ খুশি শেখ রবিয়াল।