সুকুমার সরকার, ঢাকা: বরিশাল ও খুলনার পুরভোটে জয়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগ। গাজীপুর মেয়র নির্বাচনে পরাজয়ের পর শাসকদলের জন্য এই জয় অনেকটাই স্বস্তিদায়ক বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার সকাল আটটায় দুই সিটি কর্পোরেশনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকাল ৪টায়। পরে সন্ধ্যা ৭.৩০ নাগাদ বরিশাল শিল্পকলা আকাডেমিতে রিটার্নিং অফিসার ফলাফল ঘোষণা করেন। দেশের দক্ষিণের বিভাগীয় শহর বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দলের জয় হয়েছে। ৫৩ হাজার ৪০৭ ভোট বেশি পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামি লিগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লা খোকন সেরনিয়াবাত (নৌকা প্রতীক)।
অন্যদিকে, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও জয়ী হয়েছে শাসকদল। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক শেষ হাসি হেসেছেন। দুই সিটিতেই আওয়ামি লিগের প্রার্থীদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ছিল ইসলামি আন্দোলনের প্রার্থীরা। খুলনায় ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মহম্মদ আবদুল আউয়াল। খুলনা সিটি কর্পোরেশনে মোট ভোটার ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন। খুলনায় মোট ভোট কেন্দ্র ছিল ২৮৯টি। খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং আধিকারিক মহম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোনও কেন্দ্র বন্ধ হয়নি। এমনকি কোনও কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলাও তৈরি হয়নি। প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সকলের সহযোগিতায় নির্বাচন পরিচালনা করেছে।
[আরও পড়ুন: ফের আম কূটনীতি হাসিনার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ঢাকা থেকে এল উপহার]
এদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, “বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এবং কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনের ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আমরা সন্তুষ্টি বোধ করছি। বেশ সুশৃঙ্খল ও আনন্দমুখর ভোট হয়েছে। খুলনায় ৪২ থেকে ৪৫ শতাংশ ও বরিশালে ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে।” ভোটগ্রহণ শেষে সোমবার ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে, বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচনের ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ। একই সঙ্গে আগামী ২১ জুন সিলেট ও রাজশাহি সিটি নির্বাচনের ভোট বর্জনের ঘোষণা করেছে দলটি। সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা করেন দলটির আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। বরিশালের ভোট চলাকালে প্রার্থী-সহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার দেশের জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচিরও ঘোষণা করে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ।